বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে মাছ মরে যেয়ে ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীর।
এ ঘটনা শুনে ফাঁড়ি পুলিশ এসআই মো. শামীম আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের পাথুরিয়া গ্রামে আ. সোবাহান হাওলাদার মৎস্য ঘেরে রবিবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করে।
ক্ষতিগ্রস্ত ঘের ব্যবসায়ী আ. সোবাহান হাওলাদার বলেন, জমির মালিকদের ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পাথুরিয়া সুশান্ত মজুমদারসহ ৯ জনের কাছ থেকে ৪ বছরের জন্য বিঘা প্রতি ৭ হাজার টাকা ইজারা দিয়ে ৭ বিঘার একটি মৎস্য ঘের করে আসছি। আমার ঘেরের মধ্যে ইব্রাহিম হাওলাদারের ১০ কাটা জমি আছে। সে বলে আমার জমি দিব না আমি ঘের করবো। আমার ঘেরের উপর ইব্রাহিম হাওলাদারের লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে। ঘের নিয়ে কেন্দ্র করে ইব্রাহিম হাওলাদারের সাথে দীর্ঘদিন বিরোধ সৃষ্টি হয়, এমন কি একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়েও আমাকে হয়রানি করছে। আমার ঘেরটি দখল করতে চায়, আমাকে ঘের থেকে উৎখাত করার উদ্দ্যেশেই ঘেরে সে বিষ দিয়ে ক্ষতি করছে। তিনি উর্দ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
রবিবার সকালে ঘেরে গিয়ে দেখতে পাই, ঘেরে গলদা, বাগদা, রুইসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে উঠে। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে মো. ইব্রাহিম হাওলাদার বলেন, ঘেরটি নিয়ে আমার সাথে সোবহানের একটি ঝামেলা ছিল। স্থানীয়ভাবে ফয়সালা হয়েছে। দুই দিন পরে দেখি মাছ মরে গেছে।
জিউধরা ইউনিয়নের নিকটস্ত ফাঁড়ির এসআই মো. শামীম আক্তার বলেন, পাথুরিয়া গ্রামে একটি মৎস্য ঘেরে মাছ মরে ভেসে উঠছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। এসে দেখি সোবাহান হাওলাদারের ঘেরে কিছু মাছ মরে ভেসে উঠছে। সোবাহান হাওলাদারের সাথে ইব্রাহিম হাওলাদারের বিরোধ চলছিল তবে কিছুদিন পূর্বে স্থানীয়ভাবে সমাধান হয়েছে বলে তিনি জানান।
খুলনা গেজেট/এনএম