বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি বাজারে হামলা চালিয়ে দোকান, বিএনপির অফিস ভাংচুর ও খড়ের গাদায় অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার ও শনিবার দিবাগত রাতে বহরবুনিয়া ইউনিয়নের কলেজবাজার ও বহরবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার দিবাগত রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় নদীর তীরবর্তী ৫টি গ্রামে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নুর মোহাম্মদ মল্লিক, খান মিজানুর রহমান বাবুল, ব্যবসায়ী মাসুদ রানা, সাবু জোমাদ্দার, সলেমান শিকদার ও ওয়ার্ড মেম্বার হেমায়েত হোসেন বলেন, এলাকার একটি চিহিৃত অপরাধী ২৫-৩০ জনের একটি দল আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীকে এক হয়ে লড়াইয়ে নামার আহ্বান জানিয়ে ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দেয়। পরে তারা কলেজবাজারে বিএনপির অফিস, সাইদুল মল্লিকের মাছের ডিপো, বাদশা শেখের বাড়ি ভাংচুর ও খড়ের গাদায় অগ্নিসংযোগ করে। জোরপূর্বক হিন্দু বাড়িতে অস্ত্র রেখে দিনমজুর একটি পরিবারকে ভয়ভীতি দিচ্ছে। আমরা এ বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে উর্দ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এক পর্যায়ে স্থানীয়রা মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়ে ধাওয়া দিলে দুর্বৃত্তরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তারা একটি বস্তায় করে কিছু ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা রিপন ডাকুয়ার বাড়িতে রেখে যায়। এ ঘটনায় পূর্ব বহরবুনিয়া, সূর্যমুখি, উত্তর সূর্যমুখী, কাটাখালের পাড়, ছাপড়াখালী ও সিরাজ মাস্টারের বাজার এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গ্রামবাসীরা কলেজ বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেখান থেকে কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে