বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দাউরা চন্ডিপুর সংযোগ খালের পুলটি ভেঙ্গে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় দুই বছর জুড়ে হাজার হাজার জনসাধারনের চলাচলে জনভোগান্তি এখন চরমে।
উপজেলা পরিষদের এডিপির বরাদ্দের ব্যয়ে নির্মাণাধীন নতুন পুলটি এক মাসের মাথাই ভেঙ্গে পড়ায় অর্থ বরাদ্দ আসেনি কোন কাজে। স্থানীয়দের দাবি জনগুরুত্বপূর্ন এ পুলটি পুননির্মাণ করে চলাচলে ভোগান্তি লাঘবের দাবী জানান।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মোরেলগঞ্জ ও ইন্দুরকানি দুই উপজেলার সিমান্তবর্তী চিংড়াখালী ইউনিয়নের দাউরা চন্ডিপুর সংযোগ খালে পুলটি সংস্কার ও নির্মাণের জন্য ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে “এডিপির বরাদ্দ” প্রায় ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এ পুলটি নির্মাণ করা হলেও এক মাস পরে পুলটির মাঝ থেকে ভেঙ্গে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয়দের সহযোগীতায় কোন মতে কয়েকটি কাঠের চালি দিয়ে চলাচলের উপযোগী করে তুললেও পুনরায় আবারও ভেঙ্গে যায়।
জনগুরুত্বপূর্ন এ পুলটি থেকে প্রতিদিন পূর্ব চন্ডিপুর, মধ্য চন্ডিপুর, চিংড়াখালী, তালতলা, পোলেরহাট, জামুয়া, সিংজোড়সহ সিমান্তবর্তী ইন্দুরকানি শহরে চলাচল করে ৪/৫ হাজার মানুষ। এ সংযোগ পুলের দু’ প্রান্তে রয়েছে ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবতেদায়ী মাদ্রাসা ২টি, দাখিল মাদ্রাসা ১টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১টি, চিংড়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক, ১০/১৫টি মসজিদ, রয়েছে সাপ্তাহিক ৩/৪টি বাজারসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা।
কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা গাজী মিজানুর রহমান, মো. মোসলেম উদ্দিন, মো. রুবেল হাওলাদার, স্কুল শিক্ষার্থী তামান্না, নুসরাত জাহান, রিপা আক্তারসহ একাধিকরা বলেন, প্রতিদিন কষ্ট করে এ পুলটি পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। বৃদ্ধদের নৌকায় করে পার করতে হয়। কোন ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়লে পাশেই ইন্দুরকানি
বাজারে চিকিৎসা করাতেও হিমসিম খেতে হয়। এ দুর্ভোগ আমাদের কবে শেষ হবে?। ৩/৪ বছর পূর্বে একবার সরকারিভাবে দায়সারাভাবে পুলটি নির্মাণ করে চলে গেছে ঠিকাদার। এ পুলটি থেকে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত বৃদ্ধ-শিশুসহ ৮/১০ জন।
এ বিষয়ে চিংড়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলী আক্কাস বুলু বলেন, উপজেলা পরিষদের বরাদ্দের নির্মাণাধীন পুলটি দায়সারাভাবে করা হয়েছিলো। কাজ শেষ করার কিছুদিন যেতে না যেতেই ভেঙ্গে পড়ে। তৎকালিন উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হলে সংস্কারের জন্য কিছু টাকা ও আমার ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে আবারও সংস্কার করা হয়েছিলো তাও টেকেনি।
এ সর্ম্পকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. শাহ-ই আলম বাচ্চু বলেন, দাউরা চন্ডিপুর সংযোগ খালে পুলটি একবার উপজেলা পরিষদের এডিপির বরাদ্দের মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে বোঝাই জাহাজের ধাক্কায় ভেঙ্গে যায়। এ খবর শুনে নির্বাহী কর্মকর্তা, ভাইস চেয়ারম্যানসহ আমি সরেজমিনে গিয়েছিলাম। তখনকার কাজটি নিয়েও কথা উঠেছে। পুনরায় নতুন করে আর কোন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
খুলনা গেজেট/ বিএমএস