বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌর এলাকায় আইসক্রিম কারখানা ও একটি দোকানে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় বিপুল পরিমান ভেজাল ও নকল আইসক্রিম জব্দ করে প্রতিষ্ঠানের মালিক ও বিক্রেতাকে কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
বুধবার(১ জুন) দুপুরের দিকে পৌর শহরের বারইখালী লিটন সুপার আইসক্রিম নামের কারখানায় অভিযান চালায় বাগেরহাট থেকে আগত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুবাইয়া বিনতে কাশেমের নেতৃত্বে একটি টিম। অভিযানকালে ওই কারখানা থেকে বিভিন্ন নামি-দামি কোম্পানীর মোড়কে বিপুল পরিমান নকল ও ভেজাল আইসক্রিমসহ নানা প্রকারের শিশু খাদ্যদ্রব্য জব্দ করা হয়।
এসময় বিভিন্ন ব্রান্ডের নকল আইসক্রিম উৎপাদন ও রাখার অপরাধে লিটন সুপার আইসক্রিম কারখানার মালিক লিটন শিকারী(৪০)কে ছয় মাসের কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা ও নকল আইসক্রিম রাখার অপরাধে হাসিব হাওলাদার(২৮) নামে এক দোকানীকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে ভ্রামমান আদালতের বিচারক। এরপর ভ্রামমান আদালতের উপস্থিতিতে জব্দকৃত নকল ও ভেজাল খাদ্যসামগ্রী বিনষ্ট করে পুলিশ।
দন্ডপ্রাপ্ত লিটন শিকারী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড বারইখালী গ্রামের জালাল শিকারীর ছেলে ও দোকানী হাসিব হওলাদার পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড নব্বইরসী বাসষ্টান্ড সংলগ্ন বালুর রাস্তার মোস্তফা হাওলাদারের ছেলে।
সহকারি কমিশনার রুবাইয়া বিনতে কাসেম বলেন, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া আইসক্রিমসহ বিভিন্ন কোমলপানীয় তৈরি করত তারা। এছাড়া কিছু নামীদামী কোম্পানির বোতল ও মোড়কে নিম্নমানের নকল খাদ্যপণ্য বিক্রি করত যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এসব কারণে ভোক্তা অধিকার আইনে লিটন সুপার আইসক্রিম মিলসের মালিক লিটন শিকারী(৩২) কে ৬ মাসের কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও জেলা প্রশাসনের এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাইয়েদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করে।
খুলনা গেজেট/ এস আই