বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ভাড়ায় চালিত মটরসাইকেল চালক জাহাঙ্গীর হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রধান ২ আসামিকে গ্রেফতার করেছে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের বড়পড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি কথিত মটর শ্রমিক সংগঠনের সহসভাপতি মাহিম আলম ফরিদ(৪০) উপজেলার বারইখালী ইউনিয়নের বারইখালী গ্রামের আব্দুল গনী হাওলাদারের ছেলে ও আসিফ হাওলাদার(২০) প্রধান আসামি মাহিম আলম ফরিদের ছেলে।
অপরদিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত মটরসাইকেল চালক জাহাঙ্গীর হাওলাদারের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে সোমবার রাতে ৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্য মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত ফরিদ ও তার ছেলে আসিফ এ মামলার ১ ও ২ নং আসামি। গোপনীয়তা রক্ষার সার্থে অন্য আসামিদের নাম জানাতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে নিহত জাহাঙ্গীরের লাশ বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে মঙ্গলবার দুপুরের পর তার নিজ বাড়িতে আনা হলে আসরবাদ জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
প্রধান ২ আসামি গ্রেফতারের বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান জানান, ঘটনার পর থেকে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের বিভিন্ন টিম মাঠে কাজ শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে খাউলিয়া ইউনিয়নের বড়পড়ি গ্রামের নাসিমা বয়াতীর বাড়ির বাগান থেকে আসামি ফরিদ ও তার ছেলে আসিফকে গ্রেফতার করতে পুলিশ সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারি সোমবার দুপুর ২ টার দিকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরের প্রাণী সম্পদ হাসপাতালের সামনে মটর সাইকেল স্টান্ডে জাহাঙ্গীর হাওলাদার(৪০) নামে ভাড়ায় চালিত এক মটরসাইকেল চালককে প্রথমে লাঠি দিয়ে মারপিট ও পরে প্রকাশ্য দিবালোকে গিয়ার সিস্টেম চাকু দিয়ে গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপুর্যপুরি আঘাত করে মাহিম আলম ফরিদ নামের অপর এক মটরসাইকেল চালক ও তার ছেলে হাসিব। এ সময় জাহাঙ্গীরের কলেজ পড়–য়া ছেলে সাকিব হোসেন বাবাকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তার মুখমন্ডলেও চাকু দিয়ে আঘাত করে তারা পলিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত জখম জাহাঙ্গীর ও তার ছেলে সাকিবকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার জাহাঙ্গীরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত সাকিব বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত জাহাঙ্গীর পৌর সদরের ২ নং ওয়ার্ড বারইখালীর নিকাড়ী পাড়ার আব্দুর রশিদ হাওলাদারের ছেলে