খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৫ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ট্রাকচাপায় শিশুসহ নিহত ৩
  বুধবার থেকে ডিমের নতুন দাম কার্যকর হবে : ভোক্তা ডিজি
  দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর হবে সরকার : শ্রম উপদেষ্টা
  এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ; পাশের হার ৭৭.৭৮
ধান সংগ্রহের একমাস অতিবাহিত

মোরেলগঞ্জে এক ছটাকও ধান কিনতে পারেনি খাদ্য গুদাম

এম. পলাশ শরীফ, মোরেলগঞ্জ

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চলতি আমন মৌসুমে সরকার ঘোষিত ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষকদের কাছ থেকে ধান চাল সংগ্রহের প্রকল্পের নির্ধারিত সময়ের এক মাস দশ দিন অতিবাহিত হলেও এক ছটাকও ধান ক্রয় করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। কৃষকদের অভিযোগ রয়েছে, গুদামে ধান দিতে গেলে নানাবিধ হয়রানির শিকার হতে হয়। সরকারি মূল্যের সাথে বাজারদরের সামঞ্জস্য না থাকায় এ সংগ্রহ অভিযান মুখ থুবড়ে পড়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন অফিস সুত্র ও সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,  উপজেলায় চলতি বছরে সরকারি নির্ধারিত ২৮টাকা কেজি দরে ১ হাজার ৩৭৪ মেট্রিক টন আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সংগ্রহের নির্ধারিত তারিখ ছিলো ১৭ নভেম্বর থেকে ২ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। একমাস ১০ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর কোন ধান সংগ্রহ করতে পারেনি।

কৃষকরা বলছেন, ১৬টি ইউনিয়নসহ পৌরসভার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ কৃষকেরা সরকার নির্ধারিত এ মূল্যে ধান দিতে আগ্রহ হারাচ্ছে দিন দিন। সরকারি মূল্য ১ হাজার ১২০টাকা করে প্রতি মণ ধান ক্রয় করছে খাদ্য গুদাম। সেখানে রয়েছে ধানের আদ্রতা পরিমাপে জটিলতা, অনেক দুর থেকে কেরিং দিয়ে পুনরায় ধান নিয়ে ফিরে আসতে হয়। বিভিন্ন প্রকারের হয়রানির স্বীকার হতে হয় তাদের। অথচ বাড়ি থেকে বেপারীরা মাঠের সদ্য কাটা ধান কিনছে হাজার টাকা দরে প্রতি মণ। এ সামান্য ব্যবধানে পরতা হয়না কৃষকদের।

এদিকে ধান চাল সংগ্রহ উপজেলা নামে মাত্র কমিটি থাকলেও তৃনমুল পর্যায়ে সংগ্রহে নেই কোন প্রচার-প্রচারণা। অনেকেই জানে না ধান দেওয়ার নির্ধারিত সময়। বিগত ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ধান ক্রয়ে টার্গেট ছিলো ৬0৭ মেট্রিক টন, সেখানে ধান ক্রয় হয়েছে মাত্র ৬১ টন। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে টার্গেট ৯শ’ ১৬ মেট্রিকটন। সেখানে খাদ্যগুদাম ক্রয় করেছে মাত্র ২৭ টন।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ও খাদ্যশস্য সংগ্রহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আমন মৌসুমে ধান সংগ্রহের প্রতিবন্ধকতায় বাজার ও সংগ্রহ মূল্যে কাছাকাছি থাকায় এর প্রভাব পড়েছে সংগ্রহের ক্ষেত্রে। খাদ্যগুদামের ক্রয়ের ক্ষেত্রে আর্দ্রতা, চিটামুক্ত, পরিস্কার এ ধরনের বিধি নিষেধ থাকায় যে কারণে অনেক কৃষকই ধান দিতে পারছে না। হয়রানির বিষয়টি সঠিক নয়।

এ সর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংগ্রহ কমিটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ধান ক্রয়ে বাজার দরের সাথে সামঞ্জস্য না থাকা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় ধান ক্রয়ে সমস্যা হচ্ছে। তবে, সংগ্রহের ক্ষেত্রে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহন করা হচ্ছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!