বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মারপিটে আহত আওয়ামী লীগ কর্মী বাবুল বকস্ (৪৫) এর মৃত্যুর ঘটনায় বিএনপির ৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আদালতের নির্দেশে গতকাল থানা পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ত্যাগের পরে ওই রাতে দক্ষিণ চিংড়াখালী গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী বাবুল বকস্ এর বাড়িতে ভাংচুর, লুট ও মারপিটের ঘটনা ঘটে।
মারপিটে বাবুল বকস্ গুরুতর জখম হন। রাতেই তাকে খুলনা মেডিকেল কলজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১৫দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে গত ২০ আগস্ট সে মারা যায়। এ ঘটনায় বাবুল বকস্ এর ভাবি জাহানারা বেগম বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দিলে থানা পুলিশ তা আমলে নেয়নি। পরে জাহানারা বেগম বাগেরহাট আদালতে অভিযোগ দিলে বিজ্ঞ আদালত তা এজাহার হিসেবে গ্রহন করার জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন, দক্ষিণ চিংড়াখালী গ্রামের আলম বকস্ এর ছেলে দুলাল বকস্, মামুন বকস্, সালাম হাওলাদারের ছেলে মো. আবুবকর ও হাচেন। গোপালপুর গ্রামের আক্কেল শিকদারের ছলে স্বপন শিকদার, সালাম শিকদারের ছলে রমিজ ও মান্নান খানের ছেলে নাইম খান। এ ছাড়া অজ্ঞাত নামা আসামি রয়েছেন ১৫-২০ জন। আসামিরা ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী বলে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন খান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দিন বলেন, আদালতের নির্দেশে বাবুল বকস্ হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলায় ৭ জন এজাহার নামীয় আসামি রয়েছেন। আসামিদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
খুলনা গেজেট/এএজে