মোরেলগঞ্জে চাঞ্চল্যকর দুর্ধর্ষ ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬। শুক্রবার লবনচরা থানাধীন মাথাভাঙ্গা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া আসামি হল মোঃ সুজন খলিফা।
র্যাবের পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, ২৬ ডিসেম্বর রাতে আসামিরা ভিকটিমের বসত ঘরের জানালা ভেঙ্গে সু-কৌশলে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় ঘরে অবস্থানরত ভিকটিম ও তার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রান নাশের ভয় দেখিয়ে প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকাসহ আনুষাঙ্গিক মালামাল লুটপাট করে। ডাকাতি শেষে আসামীরা ভিকটিমের স্ত্রীকে খাটের সাথে বেঁধে পাশবিক নির্যাতন চালায় এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। উল্লেখিত ঘটনা কারো কাছে প্রকাশ করলে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে আসামীরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ থানায় ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলা রুজু করেন। ঘটনাটি তখন বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ডাকাতি ও ধর্ষণের সাথে জড়িত আসামীদেরকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে। র্যাব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ও গোয়েন্দা সূত্র জানতে পারে উক্ত মামালার অন্যতম আসামী সুজন খলিফা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে থাকার পর কিছুদিন পূর্বে বাংলাদেশে এসেছে। উক্ত পলাতক আসামির কারণে মামলার তদন্ত কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে মামলার অন্যতম আসামি মো: সুজন খলিফা লবনচরা থানাধীন মাথাভাঙ্গ এলাকায় অবস্থান করেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে আসামিকে তারা গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে মোরেলগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড