বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ খনির খন্ড সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদাসাটি অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাবে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে
শিক্ষা কার্যক্রম। চার যুগ পার হয়ে গেলেও প্রতিষ্ঠানটিতে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। ১৯৭০ সালে টিন, কাঠ, বাশের স্থাপনায় মাদরাাসাটি যাত্রা শুরু করে। টানা ৫২ বছর পাঠদান চলছে সেই ভাংগা ঘরে। মাটি ধুয়ে নেমে গেছে। ধসে পড়তে পারে যে কোন সময়। এমনই অবস্থার মধ্যে ঝুকি নিয়ে,কাদা-মাটি ও ভাংগা বেঞ্চে ভর করে সেখানে লেখাপড়া করছেন ৩ শাতাধিক শিক্ষার্থী।
সুপারিনটেনডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ হাওলাদার জানান, এটি ঘনবসতি এলাকা।এখানে এবতেদায়ী শাখা থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত ৩৩০ জন নিয়মিত শিক্ষর্থী রয়েছেন।দিনদিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। ভালো হচ্ছে রেজাল্টও।কিন্তু, স্থাপিত হওয়ার পর থেকে আজঅবধি কোন প্রকার উন্নয়নের দেখা মেলেনি।৫২ বছরে অফিস, শ্রেণিকক্ষসহ গোটা স্থাপনা ক্ষয় হয়েছে। বিপর্যস্ত পরিবেশে এখন পাঠদান চালানো হচ্ছে। প্রায় ৩ বছর ধরে ১৮ জনের স্থলে শিক্ষক রয়েছেন ১২ জন। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারির পদ শুণ্য ৩টি।কর্মরত শিক্ষকদের বেতনের টাকা থেকে কিছু টাকা কেটে ইংরেজি ও গনিত বিষয়ের জন্য স্থানীয়ভাবে দু’জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে লেখা-পড়ার মান ঠিক রাখার জন্য।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জিয়াদ হাসান বলেন, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা স্তরে সারাদেশেই শিক্ষক সংকট। এ সমস্যা সমাধানে সরকার ইতিমধ্যে এনটিআরসি’র মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া শুরু করেছে। এ উপজেলায় শিক্ষকের চাহিদা দিয়ে আবেদন করা হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান আছে। শিক্ষক সংকট বেশিদিন থাকবে না।
খুলনা গেজেট/ বিএমএস