মোবাইল ফোন আমাদের প্রয়োজনীয় ডিভাইস। সারা দিনের যোগাযোগ থেকে শুরু করে কেনাকাটা সবই এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করে থাকি আমরা। মোবাইল এবং ইন্টারনেট সংযোগ আমাদের জীবনকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে যেখানে অবসর সময়ও আমরা মোবাইল ফোনে নানা ধরণের ভিডিও দেখে কাটাই। তবে সারা দিন মোবাইলে ব্যস্ত থাকার অনেক ক্ষতিও আছে। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয় আমাদের চোখের। দিনে ১৪-১৮ ঘণ্টা মোবাইল ফোনের স্ক্রীনের সামনে থাকলে চোখে নানা ধরণের সমস্যা দেখা যায়।
এসব কিছুর মধ্যে মোবাইল ফোন আমাদের বই থেকে দূর করে দিয়েছে। বলতে পারবেন শেষ কবে একটি পছন্দের গল্পের বই পড়েছেন?
বই পড়ার ইচ্ছে থাকলেও উপায় থাকে না। বই ধরলেও তা হাত থেকে পড়ে যায়। একটি বাক্যও এগোতে পারেন না। সবচেয়ে বড় কথা, যেটুকু পড়তে পারলেন, তা পরের দিন পর্যন্ত মনেও রাখতে পারেন না অনেকে। তাই আবার প্রথম থেকে পড়তে শুরু করতে হয়। হয়তো এই ধরনের সমস্যা থেকেই বই পড়ার উৎসাহ হারিয়ে যেতে বসে। তবে বই পড়া তো এক ধরনের অভ্যাস। তাই এক দিনেই তা রপ্ত করে ফেলা যায় না। তবে সামান্য কিছু বিষয়ে নজর দিলেই আবার সেই অভ্যাস ফিরে পাওয়া যায়।
মোবাইল ফোন থেকে বই পড়ায় ৫ উপায়ে মনোযোগ দিতে পারেন:
১) পছন্দের উপর গুরুত্ব দিন
আগে থেকে বই পড়ার অভ্যাস যদি না থাকে, যে কোনও বই পড়তে ভাল লাগবে না। সে ক্ষেত্রে নিজের পছন্দের উপর গুরুত্ব দিন। যে বিষয়গুলি পড়তে ভাল লাগে, তেমন কোনও একটি দিয়ে পড়তে শুরু করুন।
২) পড়ার পরিবেশ
টেবিল চেয়ারে বসে স্কুল-কলেজের পড়াশোনা করলেও গল্পের বই সেখানে বসে পড়তে ইচ্ছে করে না। তাই পড়ার জন্য এমন একটি নিরিবিলি জায়গা বেছে নিন, যেখানে বসলে পড়তে ইচ্ছে করবে।
৩)নিয়মিত পড়ার অভ্যাস
যত কাজই থাকুক না কেন খাওয়া, শোয়ার মতো বই পড়াতেও অভ্যাসের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। কোথাও যাতায়াতের সময়ে সঙ্গে যে কোনও একটি বই রাখা যেতে পারে। সময়-সুযোগ বুঝে পড়ার অভ্যাস জারি রাখতে পারেন।
৪) লক্ষ্য স্থির রাখা
২৪ ঘণ্টার মধ্যে কিছুটা সময় বাঁচিয়ে রাখুন বই পড়ার জন্য। নির্দিষ্ট ওই সময়টুকু আর অন্য কিছুতেই ব্যয় করবেন না। প্রতি দিন একটি পাতা করে পড়তে হবে এমন লক্ষ্য স্থির করেই বই পড়তে শুরু করুন।
৫) স্ক্রিনটাইম কম
ফোন, ল্যাপটপ ছাড়া এখন কাজ করা অসম্ভব। তাই চাইলেও সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তবে কতটা সময় সেই খাতে ব্যয় করবেন, তা নির্দিষ্ট করে নেওয়াই যায়।
খুলনা গেজেট/ এএজে