ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৫নং কুমড়াবাড়ীয়া ইউনিয়নে নাবালিকা একটি মেয়েকে বিয়ে করতে এসে পুলিশের হাতে বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে ৩ ভারতীয় যুবক। ভারতের চব্বিশ পরগোনার গোপাল নগর গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে প্রেমিক আমির হোসেন (২১), আমির হোসেনের আপন ভাই নুর হোসেন (২৪) ও বন্ধু একই গ্রামের বাবুর আলী মন্ডলের ছেলে নিজাম উদ্দিন মন্ডল (২৫)।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়ে দীর্ঘদিন ধরে কথা বলতে থাকে তারা। কথা বলতে বলতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায় তারা পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। যে কারণে বৃহস্পতিবার ৫ মে বাংলাদেশে এসে দিবাগত রাত ৯ টার দিকে ঐ তিন যুবক সরাসরি মেয়েটির বাড়িতে এসে অবস্থান করে।
পরের দিন শুক্রবার ৬মে দুপুরে বিয়ের আয়োজন করা হয়। তবে কোন কাজী এই বিয়ে পড়াতে রাজী না হওয়ায় স্থানীয় মোল্লা দিয়ে তারা বিয়ের প্রস্তুতি নেন।
পুলিশ এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। বৈধ ভাবে বাংলাদেশে আসা এবং পরিবারের সম্মতি থাকলেও, মেয়েটির বয়স অনুযায়ী আইনি জটিলতা থাকায় বিয়ে দিতে বাঁধা দেয় পুলিশ।
সেই সাথে ভারতীয় ঐ তিন যুবকের দায়িত্ব নেওয়া সহ এ বিয়ে কোন ভাবেই যেন না দেওয়া হয় তার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। মেয়েটি নগরবাথান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর ছাত্রী বলে যানা গেছে।
এবিষয়ে ৫ নং কুমড়াবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় ঐ তিন যুবককে তাৎক্ষণিক বাড়ী থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে মেয়ের পরিবার এবং ভারতীয় ঐ তিন যুবক যেন এহেন কার্যকলাপে না জড়ায় সে ব্যপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।