মোংলা বন্দর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় মোংলা প্রেসক্লাবে পালিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর মতবিনিময় সভায় ১৬ দফা দাবি তুলে ধরেন মোংলা বন্দর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ শাহ আলম।
তাদের দাবিগুলো হলো—মোংলা বন্দরকে গতিশীল করার লক্ষ্যে পশুর নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত ড্রেজিংয়ের কাজ অব্যাহত রাখা, মোংলা জয়মনির সাইলোর মালামাল পরিবহনের সুবিধার্থে মোংলা নদীতে ব্রিজ নির্মাণ, মোংলা বন্দরকে আধুনিকায়ন ও গতিশীল করা, মোংলা ইপিজেডে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে যুগোপযোগী সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি করা, মোংলা সরকারি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তর করা, সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা, সুপেয় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা, বন্দরের কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের চট্টগ্রাম বন্দরের মতো সুযোগ-সুবিধা প্রদানসহ আবাসিক বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, সুন্দরবনের পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন করা, মোংলা বন্দরকে গতিশীল ও খুলনা অঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতির লক্ষ্যে খানজাহান আলী বিমানবন্দর চালু করা, দ্রুত সময়ে মোংলা বন্দরে অর্থনৈতিক জোন চালু করা, মোংলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম করা, মোংলা-খুলনা-ঢাকা মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করা, রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রকে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা, মোংলা থেকে জয়মনি সাইলো পর্যন্ত মহাসড়ক নির্মাণ করা ও মোংলাকে জেলা ঘোষণা করা।
জনস্বার্থে এসব দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বন্দর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মো. শাহ আলম বলেন, দাবি গুলো বাস্তবায়িত হলে সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা আরও ত্বরান্বিত হবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মোংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আহসান হাবিব হাসান, সাধারণ সম্পাদক মো: হাসান গাজী, ভেন্ডার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো: আবুল কালাম আজাদ, মোংলা বন্দর শিপিং কর্মচারী সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মাহফুজুর রহমান, মেরিন ইঞ্জিনিয়ার সংঘের সভাপতি মো: ফারুক হোসেন, পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি মো: হুমাউন কবির, মোংলা বন্দর বণিক সমিতির সভাপতি মো: হাবিবুর রহমান মাষ্টার, শ্রমিক নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, মোংলা বন্দর মেরিন ওয়ার্কশপ সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম, রিকশাশ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাসু মিয়াসহ প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এনএম