খুলনার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং মোংলা বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে অন্যতম সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেছেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার মধ্যে দিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি খুলনা গেজেটের সঙ্গে পদ্মা বহুমুখী সেতু নিয়ে তার প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন। সৈয়দ জাহিদ হোসেন খুলনা ট্রেডার্স, ওশান ট্রেড এবং খুলনা ইনফোটেক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এতদিন পদ্মার এপাড়ে এবং ওপাড়ে যে বৈষম্য ছিল তা দূর হবে। খুলনা বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলের ২১ জেলায় উন্নয়নের জোয়ার আসবে। এসব জেলায় নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে এবং কর্মসংস্থানের পথ সুগম হবে।
জাহিদ হোসেন বলেন, রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ এবং কম সময় লাগার কারণে দেশের অন্যতম সামুদ্রিক বন্দর মোংলা ব্যবহারে আমদানী ও রপ্তানিকারকরা উৎসাহিত হবেন। মোংলা বন্দরে গতিশীলতা আসবে। আমদানী ও রপ্তানিকারকদের আর্থিক সাশ্রয়ও হবে। একই সাথে বেনাপোল ও ভোমরা বন্দরের ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে।
এই ব্যবসায়ী নেতা পদ্মাসেতু ও মোংলা বন্দরের সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের খুলনা এলাকায় শিল্পকারখানা গড়ে তোলার এবং বেশি বেশি বিনিয়োগ করার আহবান জানান।
তিনি বলেন, এই সেতু ব্যবসা ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। খুলনা এলাকার হিমায়িত খাদ্য ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিকারকদের সহায়তা প্রদান করবে পদ্মাসেতু।
জাহিদ হোসেন জানান, শুধু ব্যবসা বাণিজ্য নয় সকল দিকেই পদ্মা সেতুর প্রভাব পড়বে। শিল্প নগরী খুলনা তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে বলে প্রত্যাশা তাঁর।