মোংলা বন্দরের সাগর মোহনা সংলগ্ন ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় গ্যাসবাহী একটি বাণিজ্যিক জাহাজে চুরি সংগঠিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দিনগত গভিররাতে এমটি চেন্না-৫ নামের এ জাহাজটি বন্দরের শিল্প এলাকায় আসার পথে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘সাগর মোহনায় বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজে চুরি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ বর্তমানে বঙ্গোপসাগর এবং বন্দর এলাকায় বৈরী ও দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়া বিরাজ করায় সাগর প্রচন্ড উত্তল। এছাড়া কোষ্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা সর্বক্ষণিক টহলরত রয়েছে, সেখানে সামান্য ট্রলার বা নৌকা দিয়ে জাহাজের গায়ে ভিড়ে চুরি করা অসম্ভব।’
জাহাজটির শিপ-অফিসারের বরাত দিয়ে শিপিং এজেন্ট মেসার্স সি এশিয়া”র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আকরাম হেসেন জানান, বৃহস্পতিবার ভোররাতে শিপ অফিসার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায়, একদল চোরাকারবারী সংঘবদ্ধ হয়ে জাহাজটিতে উঠে জাহাজের থাকা নাবিকদের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ষ্টোর ভাংতে থাকে। এসময় ওই ষ্টোর ভেঙ্গে ৫টি মুল্যবান ওয়াররুপ নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে চোরদের কাছে দেশীয় ধারালো অস্ত্র থাকায় তাদের প্রতিহত করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে সাথে সাথে শিপিং এজেন্ট”র পক্ষ থেকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের
হারবার বিভাগকে জানানো হয়েছে বলে জানান শিপিং এজেন্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকরাম হোসেন।
তিনি আরো বলেন, ‘গ্যাসবাহী বাণিজ্যিক জাহাজটি শুক্রবার চালনা থানার বি এম এনার্জি টার্মিনাল নামের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান গ্যাস কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করবে এবং শনিবার সকালে বন্দরের শিল্পাঞ্চলের একটি গ্যাস
ফ্যাক্টরীতে গ্যাস খালাসের কথা রয়েছে।’
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার এম ফকর উদ্দিন জানান, গ্যাস বোঝাই জাহাজটি থাইল্যান্ড পতাকাবাহী, ভারত থেকে গ্যাস নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ক্যাপটেনসহ জাহাজটিতে ১৯জন নাবিক রয়েছে। কিন্ত ১৯জন নাবিকের সামনে মাত্র ৪/৫জন চোর জাহাজ চলন্ত অবস্থায় ষ্টোর ভেঙ্গে ছুরি করে ওয়াররোপ নিয়ে যায় এটা কি ভাবে সম্ভব সেটা আমার অজানা। তার পরেও এ বিষয়ে তারা ওই জাহাজের সিসি ক্যামেরা এবং ক্যাপটেনসহ অন্যান্য নাবিকদের সাথে কথা বলবেন। বন্দরের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে পর্যালোচনা করে চুরি হওয়ার ঘটনার সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানায় বন্দরের এ কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/এনএম