করোনায় ভারতে রপ্তানি আদেশ বন্ধ থাকার অজুহাতে মোংলা বন্দরে আসা ৮৬ কন্টেইনার পণ্য খালাস করছে না ভারতীয় প্রতিষ্ঠান। গত সপ্তাহে আমদানি হওয়া এসব কন্টেইনারে মোংলা ইপিজেডের ভিআইপি নামক উৎপাদনকারী ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশের মানব সম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক মোঃ মিজানুর রহমান খান বুধবার (২ জুন) দুপুরে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সময়মত এসব কন্টেইনারে আটকে থাকা পণ্য উৎপাদনকারী কাঁচামাল ছাড়িয়ে না নিলে তাদের জরিমানা গুনতে হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ আগামী রবিবারের (৬ জুন) মধ্যে এসব পণ্য সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
করোনার ভয়াবহতার কারণে ভারতে রপ্তানি আদেশ বন্ধ থাকায় সেদেশে পণ্য রপ্তানি করতে পারছে না মোংলা ইপিজেডের ভারতীয় ফ্যাক্টরী ‘ভিআইপি’ কর্তৃপক্ষ।
প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশের মানব সম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক মোঃ মিজানুর রহমান খাঁন বলেন, এরই মধ্যে পণ্য রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় ১৫ দিনের জন্য তাদের ফ্যাক্টরী সাময়িক বন্ধও করা হয়েছে।
তাই পণ্য রপ্তানি বন্ধ থাকায় ভারত থেকে কন্টেইনারে আসা পণ্য উৎপাদনকারীর কাঁচামাল মোংলা বন্দরের জেটিতে পড়ে আছে। পণ্যই যখন উৎপাদন করা যাবে না, সে ক্ষেত্রে এসব কাঁচামাল দিয়ে কী হবে বলেও জানান মিজানুর রহমান। ভারতে পণ্য রপ্তানি আদেশ শিথিল হলে এসব পণ্য ছাড় করা হবে বলেও জানান তিনি।
তবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজার (কন্টেইনার) মোঃ শামিম হাওলাদার বলেন, বন্দরে আসা ইপিজেডের ভিআইপি ফ্যাক্টরীর ৮৬ কন্টেইনারের মধ্যে প্রতি ২০ ফিট কন্টেইনার প্রথম ১০ দিন তিন ডলার এবং ১০ দিনের পর অবশিষ্ট দিনগুলোর জন্য আট ডলার ট্যারিফ চার্জ (বন্দর মাশুল) দিতে হবে। আর প্রতি ৪০ ফিট কন্টেইনারে প্রথম ১০ দিন দিতে হবে আট ডলার এবং অবশিষ্ট দিনের জন্য ১৬ ডলার ট্যারিফ চার্জ হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই