বাংলাদেশ মেট্টোরেল যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে ঢাকার উত্তরা থেকে আগারগাও পর্যন্ত প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে মেট্টোরেল চলাচল শুরু করবে। সেই লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বিদেশ থেকে মোংলা বন্দরে আসছে মেট্টোরেলের ৬টি রেলওয়ে কারের (কোচ) প্রথম চালান।
জাপানের কোবে বন্দর থেকে এ কোচ নিয়ে ছেড়ে আসা বিদেশী জাহাজ এম,ভি এসপিএম ব্যাংকক এখন মোংলা বন্দরের প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। বিদেশী ওই জাহাজটি মেট্টোরেলের অত্যাধুনিক ও মূল্যবান এ মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরের জেটিতে ভিড়বে। এরপর বন্দরের ৯ নম্বর ইয়ার্ডে খালাস হবে আমদানীকৃত রেলওয়ে কার। বিদেশী ওই জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনসিয়েন্ট ষ্টিমশীপ কো: লি: এর মহাব্যবস্থাপক মো: ওহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, রেলওয়ে কারগুলো জাপানের কাওয়াসাকী হ্যাভী ইন্ডাস্ট্রি কোম্পানী লি: তৈরি করছে। আর এই কোচ আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান হলো ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানী লি: (ডিএমটিসিএল)। ২০২১-২০২২ সালের মধ্যে আরো ১৩৮ টি রেলওয়ে কার মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানী,ছাড়করণ ও পরিবহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, প্রথমবারের মত মোংলা বন্দর দিয়ে দেশের মেট্টোরেলের রেলওয়ে কার আসছে। এর আগে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লিসহ মূল্যবান যন্ত্রাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে এসেছে। এর ফলে দিনে দিনে জাহাজ আগমনের সংখ্যা বাড়ছে এ বন্দরে। এতে এটাই প্রমাণ করে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। এই বন্দরের আরো সক্ষমতা অর্জন ও গতিশীল করতে নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যেগুলো বাস্তবায়ন হলে পুরোপুরিভাবে এই বন্দর আন্তর্জাতিক নতুন মাত্রা পাবে।
বন্দর ব্যবহারকারী হোসাইন মোহাম্মদ দুলাল ও ক্যাপেন্ট মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে মোংলা বন্দর ব্যবহারে এখন সুযোগ সুবিধা অনেক রয়েছে। বন্দরের নতুন ও আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন হওয়ায় এটি ব্যবহারে তারা এখন লাভজনক অবস্থানে আছেন বলেও জানান তারা।