আমদানী নিষিদ্ধ ৮০ মেট্রিক টন পোস্তদানা জব্দ করেছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। যার আনুমানিক মুল্য ৩০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে কাস্টমস। মালয়েশিয়ার তানজান পিলিপাস বন্দর থেকে কন্টেইনারবাহী এ জাহাজটি সিঙ্গাপুর হয়ে গত ৯ অগাস্ট মোংলা বন্দরে আসে।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সকালে আমদানী নিষিদ্ধ চার কন্টেইনার বোঝাই পোস্তদানা জব্দ করা হয়। কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ সকলের সামনে বন্দর জেটিতে এ কন্টেইনার খুলে পরীক্ষা করেন। গোপন সংবাদেরভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে কাস্টমস।
মংলা কাস্টমস’র সহকারী কমিশনার মোঃ আব্দুল হামিদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত পাঁচদিন আগে কন্টেইনার চারটি বন্দরে পৌঁছালে তারা জব্দ করে সীলগালা করেন। পরবর্তীতে ওই কন্টেইনারের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার মেসার্স তাজ ট্রডার্স ও চক বাজারের চম্পাতলি লেনের ০৬/১০ এর মেসার্স আয়সা ট্রেডার্সকে আজ বৃহস্পতিবার উপস্থিত থাকার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছিল। পাশাপাশি বন্দর কতৃপক্ষ ও প্রশাসনকে জানানো হয়। তবে আমদানিকারকদের পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত হয়নি আজ। বেলা ১১টায় কন্টেইনার খুললে দেখা যায়, এতে আমদানি নিষিদ্ধ পোস্তদানা রয়েছে। আমদানীকারকরা টেনিসবল আনার কথাবলে পোস্তদানা এনেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলবে।
এসময় মংলার বন্দর কাস্টমস’র জয়েন্ট কাস্টম কমিশনার, মংলা বন্দরের চীপ সিকিউরিটি অফিসার, বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্স’র সভাপতি, শিপিং এজেন্টয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। চারটি কন্টিনারে ১৮টন করে ৮০ মেট্রিক টন পোস্তদানা আছে।
প্রত্যেক কন্টেইনারে সাদা বস্তায় ভরা নিষিদ্ধ মাদক জাতীয় পণ্য পাওয়া যায় বলে জানায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, চারটি কন্টেইনারে আসা পণ্য আনুমানিক ওজন ৮০ মেট্রিক টন।
মোংলা বন্দর সিএন্ড এফ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বলছেন, অবৈধ ওইসব পণ্য আমদানি করে কিছু দুষ্কৃতিকারী মোংলা বন্দরকে ধ্বংসের পায়তারা করছে। তাই বন্দর রক্ষায় নিষিদ্ধ পণ্য আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।
মোংলা কাস্টমস হাউজের যুগ্ন-কমিশনার শামছুল আরেফিন খান জানান, অবৈধ পণ্য আমদানির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে কাস্টমস কর্তৃক আটককৃত নিষিদ্ধ পণ্যের মুল্য আনুমানিক ৩০ কোটি টাকা বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
খুলনা গেজেট/এআইএন