বাগেরহাটের মোংলায় চিংড়ি ঘের থেকে উদগিরণ হওয়া গ্যাসের নমুনা সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানী লিঃ (বাপেক্স)। বুধবার (১৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলার মিঠাখালী গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকার ওই ঘের থেকে বিশেষজ্ঞরা এই নমুনা সংগ্রহ করেন। এসময়, বাপেক্সের জেনারেল ম্যানেজার (ল্যাব) হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম, খুলনার সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিঃ এর জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মোঃ তৌহিদুর রহমান, তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির বাগেরহাট জেলা আহবায়ক মোঃ নুর আলম শেখসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষজ্ঞদলের প্রধান জেনারেল ম্যানেজার (ল্যাব) হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিশেষজ্ঞ দল গ্যাসের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এই নমুনা নিয়ে বিশদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই এই গ্যাসের ধরণ জানা যাবে ।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি শ্যালো মার্স গ্যাস (লতাপাতা, গুল্ম পচা) অর্থাৎ, উপরিভাগের মিথেন গ্যাস। তারপরও দুই ধরণের পরীক্ষায় একটিতে যদি হায়ার হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতি পাওয়া যায় তাহলে সেটি হবে ভূগর্ভস্থ দাহ্য মূল্যবান বাণিজ্যিক গ্যাস। আর হায়ার হাইড্রোকার্বন না থাকলে হবে ভূ-উপরিভাগের মিথেন গ্যাস। যা কিছুদিন ধরে উঠতে উঠতে এক সময়ে শেষ হয়ে যাবে। আর বাণিজ্যিক হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঘের ও বাড়ীর মালিক দেলোয়ার শেখ (৩৫) কে এভাবে লাইন টেনে চুলায় গ্যাসের ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়ে হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম বলেন, আপতত গ্যাস দিয়ে চুলা চালানো যাবে না। এতে বাড়ীসহ আশপাশে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি রয়েছে।
উল্লেখ, ৩০ জুন সকালে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মিঠাখালি ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকায় মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৩০) এর মৎস্য ঘেরে বালু উত্তোলনের সময় গ্যাস উদগিরণ হতে থাকে। পরবর্তীতে ঘেরের মালিক দেলোয়ার হোসেন পাইপ দিয়ে রান্নার কাজ করছেন। এরপর থেকে গ্যাস উদগিরণের স্থান দেখতে ঘটনাস্থলে ভীড় জমাতে থাকেন স্থানীয়রা।
খুলনা গেজেট / আ হ আ