মোংলা-ঘসিয়াখালী খাল বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে দেশের অন্যান্য অংশের সাথে সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেল। যা ভারত-বাংলাদেশ প্রটোকল রুটের অংশ। বর্তমানে খালের প্রবেশ পথে পলি জমেছে এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ড্রেজিং এর প্রয়োজন। কিন্তু প্রতি বছর ২০-২৫ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং করা সম্ভব নয়। চ্যানেলটি বাঁচাতে টেকসই ও দীর্ঘ মেয়াদী সমাধানের প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (১৪মে) মোংলা-ঘসিয়াখালী খাল উন্নীতকরণ প্রকল্প-ধারণাগত বিষয়ক কর্মশালায় সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এ কথা বলেন। সকালে খুলনা সার্কিট হাউজের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে সিটি মেয়র আরও বলেন, মোংলা বন্দর থেকে ঘসিয়াখালী ২৬ কিলোমিটার বি¯ৃÍত এই খাল মোংলা নদী, কুমারখালি নদী এবং একটি খননকৃত খাল নিয়ে গঠিত। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ ১৯৭০ সালে খালটি খনন করা হয়েছিলো। ২০০১ সাল থেকে খালটি আবার নৌচলাচল সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং ২০১০ সালে শুকিয়ে যায় এবং জাহাজ চলাচল ব্যাহত হয়। ২০১৪ সালে এই খালের কার্যকারিতা ফিরিয়ে আনার জন্য ক্যাপিটাল ড্রেজিং শুরু হয়েছিলো এবং ২০১৮ সাল থেকে জাহাজ চলাচলের উপযুক্ত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা। খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইডব্লিউটিএ এর প্রধান প্রকৌশলী মো. রকিবুল ইসলাম তালুকদার। কী-নোট পেপার উপস্থাপন করেন ইউএসএআইডি’র টিম লিডার জিহান হেনরি। কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ পরামর্শ হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইডব্লিউএম এর প্রধান নির্বাহী মো. জহিরুল হক খান, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী শেখ শওকত আলী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
প্রসংঙ্গত, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে মোংলা-ঘসিয়াখালী খাল আপগ্রেডিং প্রজেক্ট-কনসেপচুয়াল স্ট্যাডি শীর্ষক প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে ইউএসএআইডি ও ডিএআই গ্লোবাল এলএসসি এর মাধ্যমে মোংলা-ঘসিয়াখালী খাল আপগ্রেডিং প্রকল্পের জন্য ডেল্টা কনটেক্সটের একটি কনসোর্টিয়াম, নেদারল্যান্ডস, উইটিভেন+বোস, নেদারল্যান্ডস এবং ইন্সটিটিউট অফ ওয়ার্টার মডেলিং, বাংলাদেশকে নিয়োগ করেছে।
খুলনা গেজেট/এএজে