মোংলা ইপিজেড এ চীনা প্রতিষ্ঠানের সুতার কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । অগ্নিকান্ডে রপ্তানী প্রক্রিয়ার কয়েক টন সুতা ও কাঁচামাল(তুলা) পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১০ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তবে আগুনে হতাহতের তেমন কোন খবর পাওয়া যায়নি। শেষ খবর পর্যন্ত বিকালে গোডাউনটির ভেতরে থেমে থেমে আগুনের ফুলকি বের হতে দেখা যায় বলে স্থানীয়রা জানায়।
সোমবার সকাল ৬ টায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। মুহুর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে সুতা তৈরির কাচামাল তুলার গোডাউনে। টানা ৮ ঘন্টা ইপিজেড, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও নৌবাহিনী সহ ৪টি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালায়। ঘটনাস্থলে থেমে থেমে ধোঁয়া ও আগুনের ফুলকি বের হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট অবস্থান নিয়ে নজরদারী সহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে। তবে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে দাবী ইপিজেড কর্তৃপক্ষের।
মোংলা ইপিজেড এর জেনারেল ম্যানেজার মাহাবুব আহম্মেদ সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ইপিজ্ডে এ চায়না মালিকানাধীন গুয়াংজু হুয়াসাং সাইন্স এন্ড টেকনোলোজি নামক একটি কারখানায় আগুন লাগার খবর পেয়ে তাদের একটি ইউনিট ভোর সাড়ে ৬ টা থেকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে কাজ করছে। এর পর বাগেরহাট থেকে ফায়ার সাভির্সের আরো একটি ইউনিট এর পর একে একে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি,বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি ইউনিটসহ মোট চারটি ইউনিট আগুন নিভাতে কাজ করছে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ইপিজেড ও বন্দরের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। ভোরে অগ্নিকান্ডের সময় গোডাউনটিতে কোন শ্রমিক কর্মচারীর অবস্থান ছিল না। শুধু মাত্র অফিস কক্ষে ৫-৬ জন কর্মচারী অবস্থান করছিল। আর প্রথমে তাদের নজরে আসে অগ্নিকান্ডের ঘটনা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মজুরী ভিত্তিক শ্রমিকরা ইপিজেড গেটে জড়ো হয়। তবে তাদের কাউকে ঘটনাস্থলে পৌছানোর অনুমতি দেয়া হয়নি।
কিভাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি ইপিজেড কর্তৃপক্ষ। সংরক্ষিত এলাকা হওয়ায় সংবাদ কর্মীদের ইপিজেড এর মধ্যে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ও কারন উদঘটনে ইপিজেড কমার্শিয়াল ম্যানেজার জহিরুল ইসলামকে আহবায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ। আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে গঠিত তদন্ত কমিটি। তবে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমান নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। চীনা প্রতিষ্ঠানটির নির্ভরযোগ সূত্র দাবী করেছে, এ অগ্নিকান্ডে প্রাথমিকভাবে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন