খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ পৌষ, ১৪৩১ | ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  চট্টগ্রামে শাহ আমানত বিমানবন্দরে চোরাচালানের স্বর্ণ বহনের অভিযোগে যাত্রী আটক, বিমান জব্দ

মোংলায় ৭৩টি কচ্ছপ জব্দ, অবমুক্ত করা হবে খানজাহান আলী দিঘিতে

মোংলা প্রতিনিধি

মোংলায় ৭৩টি সুন্ধি কচ্ছপ জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। এ সময় কচ্ছপসহ আটক ব্যক্তিকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে নগদ ২ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। বিলুপ্ত প্রায় মিঠা পানির প্রজাতির এ সুন্ধি কচ্ছপ মঙ্গলবার বাগেরহাটের হযরত খান জাহান আলীর (র:) দিঘিতে ছাড়া হবে বলে জানিয়েছেন খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো: মফিজুর রহমান চৌধুরী।

কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন’র (মোংলা) স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে: এম মামুনুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোংলার দিগরাজ শিল্প এলাকা সংলগ্ন আপাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ছালার বস্তায় থাকা ৭৩টি সুন্ধি কচ্ছপসহ এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তি হলেন গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার নারকেলবাড়ী গ্রামের মঙ্গল চন্দ্র রায়ের ছেলে মনোজ রায় (৩০)। জব্দকৃত ৭৩টি কচ্ছপের ওজন প্রায় ৭৮ কেজি। কচ্ছপগুলো ২৫ হাজার টাকায় কিনে এনে মোংলার দিগরাজে বিক্রির জন্য এসেছিলেন মনোজ রায় বলে জানান কোস্ট গার্ড। পরবর্তীতে জব্দ করা কচ্ছপ খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো: মফিজুর রহমান চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে সোমবার রাতেই কচ্ছপসহ আটক মনোজ রায়কে মোবাইল

কোর্টের মাধ্যমে মাত্র ২ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার।

খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো: মফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, কচ্ছপগুলো মঙ্গলবার বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করে তার অনুমতি নিয়ে খানজাহান আলী দিঘিতে ছাড়া হবে। কারণ এগুলো মিষ্টি পানির কচ্ছপ। মিষ্টি পানির এলাকায় না ছাড়লে এগুলো বাঁচবে না। লবণ পানির হলে আমরা করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র কিংবা সুন্দরবনে অবমুক্ত করতে পারতাম।

পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মো: আজাদ কবির বলেন, মিঠা পানির প্রজাতির সুন্ধি কচ্ছপও এখন প্রায় বিলুপ্তের পথে। বিশেষ করে মিষ্টি পানি এলাকায় এগুলো হয়ে থাকে। এগুলো
এখন বরিশাল ও ফরিদপুর এলাকার মিষ্টি পানির বিলগুলোতে পাওয়া যায়। বাগেরহাটের রামপালেও মাঝে মধ্যে দেখা যায়। এগুলো মুলত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন খেয়ে থাকে। এলাকা বিশেষ ৪০০ ও ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে
থাকে। যদিও এটি ক্রয়-বিক্রয় দন্ডনীয় অপরাধ।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!