গত কয়েকদিনের রোদ গরমের পর মোংলায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় শুরু হয় ঝড়ের তান্ডব। প্রায় এক ঘন্টা ধরে চলে এই তান্ডব। এতে গরম কমলেও সদ্য গুটি আসা আম ও আমের মুকুলসহ ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে প্রাণহানির কোন খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া ঝড় শুরু সাথে সাথেই বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে গেছে। বন্দরে অবস্থানরত বাণিজ্যিক জাহাজের খালাস-বোঝাইয়ের কাজও ব্যহত হয়েছে।
এদিন ঝড়ের তান্ডবের ফলে জনমনে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এই ঝড়কে বছরের শুরুতে প্রকৃতির অশনিসংকেত বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। ঝড়ের পর খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরতলীর নিম্নাঞ্চল এলাকায় বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। শিলা বৃষ্টিতে পাকা বোরো ধানসহ আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মোংলা উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মল্লিক সেলিম আহম্মেদ বলেন, ‘মৌসুমের প্রথম ঝড়-বৃষ্টিতে সার্বিকভাবে এলাকার কৃষির উপকার হয়েছে। তবে কোথাও কোথাও শিলা বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে’।
এদিকে ঝড় বৃষ্টিতে দেশের নদী বন্দরকে ২ নম্বর স্থানীয় সংকতে দেখাতে বলা হলেও মোংলা সমুদ্র বন্দরের জন্য সতর্ক সংকেত নেই উল্লেখ করে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে যে কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে তার আগাম পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। সপ্তাহখানেকর মধ্যে আরও একটা কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড