খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ পৌষ, ১৪৩১ | ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট

মোংলায় মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলমকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ

মোংলা প্রতি‌নি‌ধি

মোংলায় মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলমকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। অপহৃতের বড় ছেলে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ’র প্লানিং এন্ড মনিটরিং কর্মকর্তা সোহেল রানা এই অভিযোগ করেন।

২৯ এপ্রিল শনিবার সকালে মোংলা প্রেস ক্লাবে মাহে আলম’র পরিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ তুলে ধরেন। এসময় তার বাবাকে অপহরণের ভিডিও ফুটেজও দেখান। তার দাবি এই ফুটেজ এবং অপহরণের যাবতীয় তথ্য উপাত্ত মোংলা থানায় দিলেও মামলা নেয়নি পুলিশ।

বাবা হত্যার বিচার না পেয়ে সাংবাদিকদের দারস্থ হয়েছেন তিনি। অপহৃত মাহে আলম পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আততায়ীর গুলিতে নিহত মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ আব্দুল বাতেনের ছোট ভাই ও মোংলা বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী।

সংবাদ সম্মেলনে মাহে আলমের ছোট ছেলে সুমন রানা বলেন, ১০ এপ্রিল বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি তার বাবা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে মোংলা থানায় জিডি করা হয়। এরপর ২০ এপ্রিলে মোংলা পোর্ট পৌরসভার সিসিটিভি ক্যামেরার ১০ এপ্রিলের সংরক্ষিত ফুটেজে দেখা যায় তার বাবা মাহে আলমকে ট্রলার মাঝি মোশাররফ হোসেন বানিশান্তা ট্রলার ঘাটে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই ফুটেজের সূত্র ধরে ঘাটের অন্যান্য মাঝি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলেন সুন্দরবনের করমজলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মাহে আলমকে। লিখিত বক্তব্যে সুমন ৩৬২ ও ৩৬৪ ধারায় তার বাবা মাহে আলমকে অপহরণ করার জন্য মোংলা থানায় মামলা গ্রহণের দাবি জানান।

সুমন রানা আরও বলেন, ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজল থেকে পুলিশ অর্ধগলিত একটি লাশ উদ্ধার করে। ওই লাশটি তার বাবার। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত লাশটির পরনে প্যান্ট শার্ট তার বাবার অপহরণের প্রাক্কালে পরিহিত প্যান্ট শার্টের সাথে মিল রয়েছে। আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এসময় বাবার অপহরণের বিচার চান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে মাহে আলমের তিন ভাই জসিম উদ্দিন, ছরোয়ার হোসেন, বিল্লাল হোসে ও জামাই মোঃ জাহিদ হোসেন, মোঃ নূর আলম শেখসহ আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সিসি টিভির ফুটেজ ও অপহরণের সব রকমের তথ্য উপাত্ত নিয়ে থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি পরিবারের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি বিকাশ চন্দ্র ঘোষ গণমাধ‌্যমকর্মী‌দের বলেন, অপহরণের যে প্রমাণ তারা নিয়ে এসেছেন তা গ্রহনযোগ্য না এবং যে লাশটির কথা বলা হচ্ছে তার ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ টেষ্টের রিপোর্ট হাতে না পেলে কিভাবে মামলা নিব?

খুলনা গেজেট/ এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!