বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের ১ নংওয়ার্ডের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেনের মৎস্য ঘের থেকে বের হচ্ছে গ্যাস। এ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই ভীড় করছে শত শত উৎসুক মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় মিঠাখালি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার তার মৎস্য ঘের থেকে বালি উত্তোলনের সময় প্রায় ৫০ ফুট উপরে পানি এবং বালি ছড়িয়ে পড়লে গ্যাস ওঠার বিষয়টি বুঝতে পারেন তারা।
জমির মালিক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকালে আমার মৎস্য ঘেরে বালু তোলার জন্য পাইপ লাগালে হঠাৎ পাইপ দিয়ে গ্যাস ওঠা শুরু হয়। এ সময় প্রায় ৫০ ফুট উচ্চতায় গ্যাস, বালু এবং পানি উপরের দিকে উঠতে শুরু করে এবং সাথে সাথে গ্যাস বের হবার সেই স্থানে একটি প্লাস্টিকের ড্রাম বসিয়ে দিয়ে পাইপ লাইন সংযোগ করে সেখান থেকে বের হওয়া গ্যাস দিয়ে বর্তমানে আমরা রান্নার কাজ করছি।
জাতীয় তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ রক্ষা কমিটির মোংলা শাখার আহ্বায়ক নূর আলম শেখ বলেন, মাটির নীচের প্রাকৃতিক সম্পদের মালিক জনগণ। জনগণের গ্যাস সম্পদ উত্তোলন-সংরক্ষণ ও বিতরণ করে দেশের সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের কাজে লাগাতে হবে। বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার মিঠাখালি গ্রামে দেলোয়ারের চিংড়ি ঘের থেকে তীব্র গতিতে গ্যাসের উদগীরণ হচ্ছে। স্থানীয় মানুষ লোকায়ত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে পাইপ দিয়ে গ্যাসের চুলার সাথে সংযোগ ঘটিয়ে রান্নার কাজ করছে। সরকারের কাছে গ্যাস অনুসন্ধানের দেশীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স’র মাধ্যমে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে এলাকার মানুষের উদ্বেগ-উৎকন্ঠার অবসান ঘটানোর দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগেও প্রায় ৫/৬ বছর আগে একই স্থানে বালু তোলার জন্য পাইপ লাইন বসালে সেখান থেকে গ্যাস বের হলে বালু তোলা বন্ধ করে দেন জমির মালিক।
এ ব্যাপারে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে ঘটনাটি শুনেছি এবং ইতিমধ্যে আমি জেলা প্রশাসককে এ ব্যাপ্যরে অবহিত করেছি। আমরা আগামিকাল (৩ জুলাই) সরেজমিন পরিদর্শন করে পেট্রবাংলাকে জানাবো।
খুলনা গেজেট / আ হ আ