বাগেরহাটের মোংলায় ১৪ বছর বয়সের এক কিশোরীকে ধর্ষণ মামলায় মোঃ নাসির হাওলাদার (৫২) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৩ মে) রাতে মোংলা উপজেলার মাকোড়ডোন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাসিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে ওই রাতেই স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুণ মল্লিকবাদী হয়ে নাসির হাওলাদারের নামে মামলা করেন মোংলা থানায়।
গ্রেপ্তার নাসির হাওলাদার মাকোড়ঢোন পাকখালি আবাসন প্রকল্পের মৃত মজিদ হাওলাদারের ছেলে। নাসির সম্পর্কে নির্যাতিতা মেয়েটির ফুফুর স্বামী(ফুফা) হন। মঙ্গলবার (২৪ মে) নাসিরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা মারা গেছে বেশ আগে। অভাবের তাড়নায় মা প্রবাসী। নিরাপত্তার জন্য দূর সম্পর্কের আত্মীয় (ফুফা) নাসির হাওলাদারের বাড়িতে থাকত ওই কিশোরী ও তার আরেক বোন। তাদের খরচ বাবদ প্রতিমাসে নাসির হাওলাদারের কাছে টাকাও পাঠায় নির্যাতিত কিশোরীর মা।
রবিবার (২২ মে) রাত আনুমানিক রাত ৮টার দিকে শারীরিকভাবে অসুস্থ্যবোধ করায় পাকখালি আবাসন প্রকল্পে মোঃ নাসির হাওলাদারের চায়ের দোকানের ভিতরে থাকা শয়নকক্ষে শিশুটি ঘুমিয়ে পড়ে। দোকানে কেউ না থাকায় রাত ৯টার দিকে মোঃ নাসির হাওলাদার শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে কিশোরী ধর্ষণের বিষয়টি আবাসনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার খাঁ কে জানালে স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুণ মল্লিক মামলা করেন।
মোংলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিকাশ চন্দ্র ঘোষ জানান, মামলার পরেই আসামি নাসির হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরে নাসির হাওলাদারকে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিতা কিশোরীর মেডিকেল টেষ্টের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।