মোংলায় একদিনের ব্যবধানে করোনা শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় তিনগুনে। বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১ জন করোনা পরীক্ষায় ২০ জনের পজেটিভ হয়েছে। শনাক্তের হার ৬৪.৫১ ভাগ। এর আগে বুধবার ২২ ভাগ, মঙ্গলবার ৩৫ ভাগ, সোমবার ৪৩ ভাগ, রবিবার ৫৫ ভাগ ও শনিবার ছিল ৪৫ ভাগ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার্ ডা: জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে এখানকার যে শনাক্তের হার রয়েছে তা উদ্বেগজনক। চলমান বিধি নিষেধ শতভাগ বাস্তবায়ন করা না গেলে এ পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটার আশংকা রয়েছে। তিনি বলেন, এখানকার গড় শনাক্তের হার ৫৫ ভাগ।
এদিকে মোংলায় ৫ম দফায় ঘোষিত করোনা বিধি নিষেধের প্রথম দিন বৃহস্পতিবারও পৌর শহরের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকানপাট ছাড়াও অন্যান্য দোকান খোলা ছিল। রাস্তায় যানবাহন ও লোকসমাগমও ছিল বেশ চোখে পড়ার মত। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে নতুন এ বিধি নিষেধ জারির পর পৌরসভার ডিজিটাল সেন্টার থেকে কিছুক্ষণ পর পর সচেতনামূলক প্রচারণা চালানো হলেও তাতে অনেকটা অনীহা দেখা গেছে পৌরবাসীর মাঝে।
বুধবার বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো: আজিজুর রহমান ৫ম দফায় মোংলায় বৃহস্পতিবার থেকে আরো ৭ দিনের বিধি নিষেধ জারি করেন। জেলা প্রশাসকের গণবিজ্ঞপ্তিতে যে শর্তগুলো প্রতিপালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা এখানে কার্যকর ও মানা হচ্ছেনা। তাতে কাঁচা বাজার খোলা জায়গা সরিয়ে নেয়ার কথা থাকলেও তা রয়েছে আগের জায়গাতেই। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখার ঘোষণা থাকলেও এর বাহিরে অন্যান্য মালামালের দোকান খোলা থাকার পাশাপাশি যানবাহন ও সাধারণ মানুষের অবাধ চলাচল রয়েছে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার কমলেশ মজুমদার বলেন, শনাক্তের হার মাঝে একটু কমে ছিল, হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার আবার তা বেড়েছে। শহরের লোকজনের চলাচলও আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে দেখছি। এতো কঠোরতার মধ্যেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা আসছেনা, আমরা আরো বেশি কঠোর হবো।
এর আগে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৩০ মে থেকে মোংলায় শুরু হয় কঠোর বিধি নিষেধ।