খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

মোংলায় আলোচিত মাহে আলম’র মরদেহ উত্তোলন

মোংলা প্রতিনিধি

অবশেষে বহুল আলোচিত মোংলার বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলমের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় মোংলার পশ্চিম চিলা গ্রাম থেকে ৭ মাস ১০ দিন পরে মাহে আলম’র মরদেহ উত্তোলন করা হলো। গত ১৪ এপ্রিল হিলটন নাথ হিসেবে মরদেহটি সমাহিত হয়েছিলো। ডিএনএ টেস্ট’র রিপোর্টে ইতিমধ্যেই প্রমাণিত করেছে লাশটি মাহে আলম’র।

এমতাবস্থায় বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত গত ৮ নভেম্বর বুধবার এক আদেশে বহুল আলোচিত লাশটি উত্তোলন করার কথা বলেছে। আদালতের নির্দেশে বাগেরহাট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মনোনীত নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোংলা মোঃ হাবিবুর রহমান’র উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করা হয়।

লাশ উত্তোলনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন মোংলা-রামপাল সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার, মোংলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্ম সামসুদ্দীন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ইমরান হোসেন, চিলা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন প্রমূখ। লাশটি উত্তোলন করে মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার কাছে হস্তান্তরের আদেশ প্রদান করেছেন বাগেরহাটের আমলী আদালত।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হিলটন নাথ ৭ এপ্রিল সুন্দরবনে মাছ ধরতে যেয়ে নিখোঁজ হয়। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল মোংলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহে আলম বাড়ী থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজলে একটি অজ্ঞাতনামা লাশ পাওয়া যায়। ১৪ এপ্রিল দাকোপ থানা পুলিশ হিলটন নাথের মা বিথিকা নাথের কাছে অজ্ঞাতনামা লাশটি হস্তান্তর করে। হিলটন নাথ খুন এবং মাহে আলম নিখোঁজ বিষয়ে দাকোপ (খুলনা) থানা এবং মোংলা (বাগেরহাট) থানায় দুুটি পৃথক মামলা হয়।

অন্যদিকে নিখোঁজ হওয়া মোংলার ব্যবসায়ী মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার দাবির প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলী আদালত ’গ’ অঞ্চল খুলনা; হিলটন হিসেবে সমাহিত লাশটির ডিএনএ টেস্ট’র জন্য এক আদেশ প্রদান করেন। হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথ এবং মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার ডিএনএ টেস্ট’র প্রেক্ষিতে গত ১ আগস্ট প্রকাশিত ”ডিএনএ পরীক্ষায় সুদৃঢ়ভাবে প্রমাণিত হয় যে অজ্ঞাত মৃত দেহ সুমন রানার জৈবিক পিতা।” অর্থাৎ মাহে আলম’র। এমতাবস্থায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে ৭ মাস ১০ দিন পরে আজ ২০ নভেম্বর সোমবার ১১টায় লাশটি উত্তোলন করা হচ্ছে।

মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানা বলেন, আদালত এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় আজ ৭ মাস ১০ দিন পরে বাবার মরদেহ পেতে যাচ্ছি। সুন্দরবনে দস্যুবৃত্তি ও অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য’র সাথে জড়িত একটি মহল আমার বাবার খুন এবং লাশ গুম এর সাথে জড়িত বলে ধারণা করছি। আশা করছি পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনবেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!