দুর্ঘটনার একদিন পরেও মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে ডুবে যাওয়া কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ এখনও উদ্ধার হয়নি। এমনকি উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেনি বন্দর ও কার্গো জাহাজের মালিকপক্ষ।
এ বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা জানান ২ মার্চ মঙ্গলবার জাহাজটি উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হবে। এজন্য বরিশাল থেকে একটি উদ্ধারকারী ক্রেন আনা হচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) মোংলার নেতা নাজমুল হক বলেন, পশুর নদীকে বলা হয় সুন্দরবনের প্রাণ। যেহেতু পশুর নদী কয়লাবাহী জাহাজ ডুবেছে, সেহেতু কয়লা একটি বিষাক্ত পদার্থ আর এটি নদীতে ছড়িয়ে পড়লে মাছসহ জলজ প্রাণীর মারাত্মক ক্ষতি হবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবছরই এই পশুর নদীতে কয়লা, তেল ও সার ভর্তি জাহাজ ডুবছে এসব ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের আরও সাবধান হতে হবে।
ডুবে যাওয়া কাগোর্ জাহাজের মাষ্টার ওসমান আলী জানান, শনিবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) প্রায় ৭শ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে কার্গো জাহাজ এমভি বিবি-১১৪৮ তলা ফেটে ডুবে যায়। রাত ১১টার দিকে পশুর নদীর বানীশান্তা ও চরকানা এলাকায় পৌঁছালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এ সময় ওই জাহাজের মাষ্টারসহ ১২ জন নাবিক সাঁতার দিয়ে নদীর তীরে উঠে। এদিন বন্দরের হাড়বাড়িয়ার ৭ নম্বর এ্যাংকোরেজ থাকা বিদেশী জাহাজ এম, ভি জসকো থেকে কয়লা বোঝাই করে যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে কার্গো জাহাজটি।
এদিকে জাহাজটি উদ্ধার কাজ শুরু না হলেও ঘটনাস্থলে মার্কিংয়ের ব্যবস্থার কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে কাগোর্টি পশুর চ্যানেলের মুল চ্যানেলের বাহিরে ডুবেছে বলে নৌযান চলাচলে সমস্যা হবে না বলে শনিবার জানিয়েছেন বন্দরের হারবার মাষ্টার কমান্ডার ফখরউদ্দিন।
খুলনা গেজেট/ টি আই