পারলেন না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পারলেন না রবার্ট লেভানদোভস্কি। ইউরোপিয়ান ফুটবলের ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট গোল্ডেন বুট জিতলেন চিরো ইমমোবিল। ৩৬ গোলে করে ইমবোবিল সর্বোচ্চ গোলের পুরস্কার জিতেছেন। শীর্ষে উঠতে লাজিও এ প্লেমেকার পেছনে ফেলেছেন লেভানদোভস্কি ও রোনালদোকে। বায়ার্ন মিউনিখের লেভানদোভস্কি ৩৪ ও জুভেন্টাসের রোনালদো ৩১ গোল করেছেন। শীর্ষ পাঁচের শেষ দুইজন টিমো ওয়ার্নার (২৮) ও লিওনেল মেসি (২৫)।
গত এক দশক ধরে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু পুরস্কার জেতার পথে রাজত্ব করছেন লিওনেল মেসি। শেষ তিনবার টানাসহ মোট জিতেছেন পাঁচবার। বাকি পাঁচবারের তিনবার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং দুইবার লুইস সুয়ারেজ। এবার সেই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ছিলেন রোনালদো একা।
লিগের শেষ ম্যাচে তাকে যে করেই হোক ছয় গোল করতেই হতো। বিষয়টি শুধু অস্বাভাবিক নয়, প্রায় অসম্ভব। তাইতো সুযোগটি নেননি সিআর সেভেন। শনিবার রাতে রোমার বিপক্ষে এ তারকা বিশ্রামে ছিলেন।
গত আট বছর ধরে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড এবং বায়ার্নের হয়ে দুরন্ত ফর্মে আছেন লেভানদোভস্কি। বুন্দেসলিগার সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছেন বেশ কয়েকবার। তবে ইউরোপের সবচেয়ে বেশি গোলদাতার পুরস্কারটা হাতে তোলা হয়নি। এবারও শেষ দিকে এসে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট হাতছাড়া হয় তার।
ইমমোবিল নিজের শেষ ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে লেভানদোভস্কিকে ছাড়িয়ে যান। তাতেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায় তার। এখন পর্যন্ত ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট চারবার পেয়েছেন রোনালদো। শেষবার ২০১৪-১৫ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে ৪৮ গোল করে এ পুরস্কার জিতেছিলেন। শেষ তিন মৌসুমে রোনালদো ইউরোপের সেরা তিনেও জায়গা করতে পারেননি।
মেসি পাঁচবার এ পুরস্কার পেলেও এবার গোল সংখ্যায় পিছিয়ে ছিলেন। তবে এবার অ্যাসিস্টে মেসি কারিশমা দেখিয়েছেন। রেকর্ড ২২টি গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন বার্সেলোনার অধিনায়ক।