ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে লিওনেল মেসি জানিয়েছিলেন, তার ওপর নির্ভরশীল নয় আর্জেন্টিনা। কিন্তু কোপা আমেরিকার প্রথম ম্যাচে মেসির কাঁধে ভর করেই লিড নিলো আর্জেন্টিনা। চিলির বিপক্ষে ম্যাচের ৩৩ মিনিটে প্রথম গোল পেল আলবিসেলেস্তেরা।
ব্রাজিলের সান্তোসে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে চলমান ম্যাচের ৩২ মিনিটের সময় আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার জিওভানি লো সেলসোকে নিজেদের ডি-বক্সের বাইরে ফাউল করেন চিলির মিডফিল্ডার এরিক পুলগার। সঙ্গে সঙ্গে ফ্রি-কিকের বাঁশি বাজান রেফারি, হলুদ কার্ড দেখান পুলগারকে।
গোল করার মতো দূরত্বে ফ্রি-কিক পেয়ে শট নিতে এগিয়ে আসেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসিই। বাঁকানো শটে গোল পোস্টের বাম পাশ দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে মেসির এটি ৭৩তম গোল। আর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে গোলসংখ্যা বেড়ে হলো ৩৯।
চিলির বিপক্ষে মুখোমুখি পরিসংখ্যানে বেশ এগিয়ে আর্জেন্টিনা। দুই দলের মধ্যে হওয়া ৯৩টি ম্যাচের মধ্যে আর্জেন্টিনাই জিতেছে ৬১ ম্যাচ, ড্র হয়েছে ২৪টি খেলা। বাকি ৮ ম্যাচে জয় চিলির। তবে এই ৮ ম্যাচের মধ্যেই রয়েছে ২০১৫ ও ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচ দুইটি।
আর্জেন্টিনা একাদশ : এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, গনজালো মন্টিয়েল, লুকাস মার্টিনেজ কোয়ারতা, নিকোলাস ওটামেন্ডি, মার্কোস আকুনা, রদ্রিগো ডি পল, লেয়ান্দ্রো পারেদেস, জিওভানি লো সেলসো, লিওনেল মেসি, লাউতারো মার্টিনেজ ও নিকোলাস গনজালেজ।
চিলি একাদশ : ক্লাউদিও ব্রাভো, ইয়েরি মিনা, মাউরিসিও ইসলা, গ্যারি মেডেল, গুইলার্মো মারিপান, আরতুরো ভিদাল, এরিক পুলগার, চার্লস আরাঙ্গুইজ, জেন মেনেসেস, এডুয়ার্ডো ভার্গাস ও কার্লোস পালাসিওস।