স্প্যানিশ লা-লিগার খেলায় আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওেনেল মেসির জোড়া গোলে পুচকে এলচের বিপক্ষে ৩-০ গোল ব্যবধানে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। বার্সার হয়ে অন্য গোলটি করেন জর্দি আলভা। তবে জয় পেলেও পয়েন্ট টেবিলে কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি রোনাল্ড কোমানের শিষ্যরা।
পয়েন্ট টেবিলের একেবারে শেষেরদিকে থাকা এলচের বিপক্ষে বার্সেলোনার জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল। ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে একচ্ছত্র আধিপত্য দেখায় মেসিরা। তবে এলচের রক্ষণাত্মক কৌশলের বিপক্ষে খুব একটা সুবিধা করতে পারছিল না বার্সেলোনা। ডি-বক্সে তৎপর ত্রিনকাও ২০তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পান। কিন্তু তার শট দারুণ রিফ্লেক্সে রুখে দেন গোলরক্ষক এদগার বাদিয়া। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্যতেই প্রথমার্ধ শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে অপেক্ষা ফুরোয় স্বাগতিকরা। বল পায়ে খানিকটা এগিয়ে ডি-বক্সের মুখে মার্টিন ব্রাথওয়েটকে বাড়িয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন মেসি। সতীর্থের ব্যাকহিলে ফিরতি পাস ধরে বাঁ পায়ের শটে দলকে এগিয়ে নেন আর্জেন্টাইন তারকা।
৬৮তম মিনিটে দারুণ গোছালো আক্রমণে ব্যবধান বাড়ায় বার্সেলোনা। মাঝমাঠের কাছ থেকে বল পায়ে প্রতিপক্ষের তিন খেলোয়াড়কে পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে কাটব্যাক করেন ফ্রেংকি ডি ইয়ং। আর বল ধরে দুজনের বাধা এড়িয়ে লক্ষ্যভেদ করেন রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
প্রথম গোলে পিচিচি ট্রফির দৌড়ে লুইস সুয়ারেসকে ছাড়িয়ে এককভাবে শীর্ষে ওঠেন মেসি। এবার ব্যবধানটা বড় করলেন। তার গোল হলো ১৭টি। ২ গোল কম নিয়ে দুইয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদের সুয়ারেস।
আলবার ৭৩তম মিনিটের গোলে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় বার্সেলোনার। মেসি ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে হেডে ছয় গজ বক্সের মুখে বাড়ান ব্রাথওয়েট। দারুণ ভঙ্গিমায় বাঁ পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ডিফেন্ডার আলবা।
এ জয়ের ফলে ২৪ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরেই অবস্থান করছে বার্সেলোনা। আর প্রথমস্থানে থাকা অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের সংগ্রহ ২৩ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট। ২৪ ম্যাচে ৫২ পয়ন্ট নিয়ে দুইয়ে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
খুলনা গেজেট/কেএম