ঠিক আগের ম্যাচেই গ্যালারির দর্শকদের দুয়ো শুনতে হয়েছে তাঁকে। এ দিকে ক্লাবও নাকি চুক্তি নবায়ন করতে খুব আগ্রহী নয়। যার জেরে একের পর এক সাবেক ফুটবলারদের পিএসজি-ছাড়ার পরামর্শ, আর ক্লাবের প্রচারণায় বাদ পড়া মিলিয়ে খুব অস্বস্তিকর এক সপ্তাহই পার করতে হয়েছে লিওনেল মেসিকে।
সব এক পাশে সরিয়ে রাখতে যা দরকার ছিল, সেটাই করলেন আর্জেন্টাইন তারকা। মাঠে নেমে বাঁ পায়ের মাপা শটে দারুণ এক গোল এনে দিলেন পিএসজিকে। পরে সের্হিও রামোসের আরেকটি গোল আর জিয়ানলুইজি দন্নারুম্মার দৃঢ়তায় নিসের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয়ও পেয়েছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
এর আগে লিগে টানা দুই ম্যাচ হেরেছিল পিএসজি। এই জয়ে লিগ শিরোপা দৌড়েও ভালোমতো টিকে থাকল মেসির দল। ৩০ ম্যাচে পিএসজির পয়েন্ট ৬৯, দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাস ৬ পয়েন্ট পেছনে।
সর্বশেষ দুই ম্যাচে রেন ও লিওর কাছে হেরে লিগ আঁ নিয়েই দুশ্চিন্তা ভর করেছিল পিএসজিতে। চ্যাম্পিয়নস লিগ আর ফরাসি কাপ থেকে বিদায় হয়ে গেছে আগেই। এবার না পা হড়কায় লিগেও। যে কারণে আজকের ম্যাচে পিএসজির জয় দরকার ছিল খুব করে। প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ছিল পিএসজিই। ২২ মিনিটেই গোল পেয়ে যেতে পারতেন দানিলো পেরেইরা। খুব কাছ থেকে নেওয়া পর্তুগিজ ডিফেন্ডারের হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
চার মিনিট পরই অবশ্য গোল পেয়ে যায় পিএসজি। বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেসের ক্রস প্রথম প্রচেষ্টাতেই পাঁ ছুইয়ে বলের দিক পাল্টে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে পাঠান মেসি। লিগ আঁ-তে এটি তাঁর ১৪তম গোল।
গোল হজমের পর আক্রমণে ধার বাড়ায় নিস। প্রথমার্ধের শেষ দিকে দুটি ভালো সুযোগও তৈরি করে। প্রথমটি ছিল কিফহেন থুরামের ক্রসে তেরেম মোফির শট, পরেরটি মোফির হেড। দুটিই ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করেন পিএসজি গোলরক্ষক দন্নারুম্মা। দ্বিতীয়ার্ধেও নিসের একাধিক আক্রমণে দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে হয় দন্নারুম্মাকে। মার্কিনিওস আর রামোসের দৃঢ়তায়ও প্রতিহত হয় কিছু আক্রমণ। এর মধ্যে ৫২ মিনিটে দান্তের ভলি অবশ্য কারওই আটকানোর উপায় ছিল না। তবে ক্রসবারের ভেতরে লেগে নিচে পড়লেও অল্পের জন্য বল গোল লাইন পার হয়নি।
পিএসজি তাদের দ্বিতীয় গোলটি পায় ৭৬ মিনিটে। মেসির কর্নার থেকে লাফিয়ে হেডে বল জালে জড়ান রামোস। শেষ দিকে গোলের সুযোগ পান এমবাপ্পেও। ৯২ মিনিটে নিস গোলরক্ষক কাসপার স্মাইকেল আশরাফ হাকিমির শট রুখে দিলে পেয়ে যান মেসি। নিজে শট না নিয়ে তিনি এমবাপ্পের দিকে বাড়ান। কিন্তু ক্রসবারের ওপর দিয়ে মেরে সহজ সুযোগ হারান এমবাপ্পে। তাতে অবশ্য পিএসজির ক্ষতি কিছু হয়নি। মাঠ ছেড়েছে ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই। পরের ম্যাচে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাসের বিপক্ষে খেলবে পিএসজি।