মেলবোর্নে মেগা ফাইনাল। টস জিতে বোলিংয়ে ইংল্যান্ড। প্রথম ওভার শুরু হয় বেন স্টোকসকে দিয়ে। যিনি নিজের প্রথম ডেলিভারিই দেন ‘নো বল’। পরের পাঁচ বলে পাকিস্তানের দুই ওপেনার রিজওয়ান ও বাবর মিলে নেন ৮ রান।
দ্বিতীয় ওভার থাকে বোলিংয়ে আরেকটু নিয়ন্ত্রণ বাড়ায় ইংল্যান্ড। সেই বাধা টপকে পাকিস্তানকে এগিয়ে নেওয়ার আভাস দেন রিজওয়ান ও বাবর। কিন্তু স্থায়ী হয়নি। ওপেনিং জুটি ভাঙেন স্যাম কারান। ১৫ রানে বিদায় করেন রিজওয়ানকে। এরপর হারিসের উইকেট তুলে নেন আদিল রশিদ। এরপর অধিনায়ক বাবর আজম ও ইফতেখারকে হারিয়েছে পাকিস্তান। দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পাকিস্তান।
দীর্ঘ এক মাসের ব্যাটের-বলের লড়াই শেষ হতে চলেছে আজ। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে আজ রোববার মুখোমুখি হয়েছে দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান।
সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিদায়ের পর একটি বিষয় নিশ্চিত হয়েছে ক্রিকেট দুনিয়া। সেটি হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের সঙ্গী পাচ্ছে। এতদিন তারাই একমাত্র দল ছিল, যাদের ক্যাবিনেটে শোভা বাড়িয়েছে দুটো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। মেলবোর্নে আজ পাওয়া যাবে দুবার জেতা আরেক দলকে।
চলতি বিশ্বকাপে ‘এ’গ্রুপে ছিল ইংল্যান্ড। আর পাকিস্তান ছিল ‘বি’ গ্রুপে। যার যার গ্রুপ থেকে রানারআপ হয়ে সেমিফাইনালে আসে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। এবার দুদলেরই মিশন ফাইনাল। পাকিস্তানের অনিশ্চয়তায় ঘেরা আসরে শ্রেষ্ঠত্ব পাওয়ার থেকে মাত্র নিঃশ্বাস দূরত্বে। সেই দূরত্ব না ঘোচাতে তৈরি ইংল্যান্ড। ফাইনালের ওয়ার্মআপ ধরলে সেমিফাইনালে দারুণ খেলেছে উভয় দল। প্রথম সেমিতে নিউজিল্যান্ডকে পাকিস্তান, দ্বিতীয় সেমিতে ভারতকে ইংল্যান্ড উড়িয়ে দিয়েছে। আত্মবিশ্বাসের পালে তাই জোর হাওয়া দুই শিবিরে।
২০১৬ সালে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল ইংল্যান্ড। স্টোকসের বলে কার্লোস ব্রেথওয়েটের চার বলে চার ছয়ে সেই ফাইনাল হাতছাড়া হয় ইংলিশদের। ২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রবল নাটকীয়তা শেষে বিশ্বকাপ ঘরে তোলে ইংল্যান্ড। সেটি বাড়তি প্রত্যয় জোগাবে তাদের।
২০১০ সালে একমাত্র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় ইংল্যান্ড। পাকিস্তান ২০০৯ সালে জিতে নিজেদের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ট্রফি। এরপর গত ১৩ বছরে খেলতে পারেনি ফাইনাল।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ২৮ বার। যাতে ইংল্যান্ড জিতেছে ১৮ ম্যাচে, পাকিস্তানের শেষ হাসি ৯ ম্যাচে। ১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বে একদিনের বিশ্বকাপ জয় করে পাকিস্তান। সেবার যে রূপরেখা ধরে ফাইনালে আসে তারা, এবারও অভিন্ন পথচলা। শুধু ফরম্যাট ভিন্ন। তাতে কী! পাকিস্তান চায় সেবারের পুনরাবৃত্তি। ইংলিশদের চাওয়া আরেকবার ঘরে ফিরুক বিশ্ব শ্রেষ্ঠত্ব। দুদলের লড়াইয়ের পর মেলবোর্নে শিরোপা ওঠে কার হাতে সেটাই দেখার অপেক্ষা।