খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ঋষভ পন্ত

মেট্রোরেলের আরও ১২ ইঞ্জিন-বগি নিয়ে মোংলা বন্দরে ‘এসপিএম ব্যাংকক’

মোংলা প্রতিনিধি

মেট্রোরেলের আরও একটি চালান মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে। শনিবার আটটি বগি ও চারটি ইঞ্জিনের দুই সেট কোচ নিয়ে সকাল সাড়ে ১০ টায় বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করে থাইল্যান্ড পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি এসপিএম ব্যাংকক’।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর জাপানের কোবে বন্দর থেকে ছেড়ে আসা এই জাহাজে মেট্রোরেলের বগি ছাড়াও আরও ৩২ টি প্যাকেজের সরঞ্জামও এসেছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিন সকালেই ওই জাহাজ থেকে মেট্রোরেলের বগি ও ইঞ্জিনগুলোর খালাস প্রক্রিয়া শুরু হয়। সন্ধ্যা নাগাদ এসব পণ্য পুরোপুরি খালাস শেষ হবে বলেও জানান হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন।

বিদেশি জাহাজ ‘এমভি এসপিএম ব্যাংকক’ এর স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনশিয়েন্ট স্টিম শিপ কোম্পানির খুলনাস্থ ব্যবস্থাপক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আগামী মাসে মেট্রোরেলের বগি নিয়ে আরও একটি চালান আসার কথা রয়েছে। সব মিলে ২০২২ সালের মধ্যে এখনও ১০২ টি মেট্রোরেলের বগি ও ইঞ্জিন আসবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে চারটি বিদেশি জাহাজে করে সর্বমোট ৩৪ টি মেট্রোরেলের বগি মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়। এসব বগি সংযোজন হয়ে ইতোমধ্যে বাস্তবে রুপ নিয়েছে। গত ২৯ আগষ্ট উত্তরা থেকে পল্লবী পর্যন্ত স্বপ্নের মেট্রোরেলের বাস্তব পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, দেশে আমদানি হওয়া মেট্রোরেলের এসব বগি মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হওয়ার ক্ষেত্রে বন্দরের সক্ষমতার প্রমাণ করেছে।

তিনি বলেন, ‘এর আগে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন মালামাল ও যন্ত্রাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে আসে। ২০১৯-২০২০ সালে বন্দরের আউটার বার ড্রেজিং সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমান বন্দরে ইনার বারের ড্রেজিং চলছে। নাব্যতা দূর হওয়াতে এখন বড় বড় জাহাজ আসতে পারছে। সবমিলিয়ে এটা একটা প্রতিফলন যে মোংলা বন্দর একটি গতিশীল বন্দর হিসেবে রুপান্তরিত হয়েছে এবং বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে’।

মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানায়, রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইন-৬ নির্মিত হচ্ছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!