ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় গত বছরের মে মাসে গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাবন্দি ছিলেন লেখক মুশতাক। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে তার মৃত্যু হয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডিসি জানান, মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে শুক্রবার দুই সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী ও উম্মে হাবিবা ফারজানা। কমিটিকে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় গত বছরের মে মাসে গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাবন্দি ছিলেন লেখক মুশতাক। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে তার মৃত্যু হয়।
কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, মুশতাক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে কারাগারের ভেতর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মুশতাকের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালটির ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. শাফী মোহাইমেন বলেন, ‘মুশতাকের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরির পর বিস্তারিত বলা যাবে।’ মুশতাকের মরদেহে অস্বাভাবিক কিছু দেখেননি বলে জানিয়েছেন তার খালাতো ভাই ও চিকিৎসক নাফিস রহমান।
তার মৃত্যুতে ‘লেখক মুশতাকের হত্যাকারী রাষ্ট্র’ ব্যানারে কয়েক শতাধিক ছাত্র-জনতা শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টায় শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভে নামে। দিনভর চলে নানা কর্মসূচি। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে জাতীয় যাদুঘরের সামনে গায়েবানা জানাজা হয়। এতে ইমামতি করেন ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন।
এদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে আগামী ৩ মার্চ সকাল এগারোটায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ পদযাত্রার ঘোষণা দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
খুলনা গেজেট/ টি আই