কারান্তরীণ অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ঢাকায় নিযুক্ত ১৩ রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার।
রাতে এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা বলেন, মুশতাক আহমেদ ৫ মে ২০২০ থেকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে বিচারাধীন মামলায় কারাগারে আটক ছিলেন। আমরা মনে করি বিভিন্ন সময়ে তার জামিন আবেদন নাকচ করা হয়েছে, যার ফলে কারান্তরীণ অবস্থায় তার উপযুক্ত চিকিৎসা প্রাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমরা তার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি দ্রুত, স্বচ্ছ এবং স্বাধীন তদন্তের মধ্য দিয়ে পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে।
বাংলাদেশের ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-এর প্রবিধান এবং এর প্রয়োগ নিয়ে আমাদের স্ব স্ব রাষ্ট্রের বৃহত্তর উদ্বেগের প্রেক্ষিতে আমরা বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে সর্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। একই সঙ্গে এই আইনের গ্রহণযোগ্যতা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং এর স্ট্যান্ডার্ড মানার থেকে বাংলাদেশের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তার সঙ্গে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সামঞ্জস্যতার প্রশ্নেও আমরা আমাদের উদ্বেগ অব্যাহত রাখছি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন- মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিঙ্ক, কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনওয়ে প্রিফন্টেইনার, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি স্ট্রাপ পিটারসন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জিন ম্যারিন স্কো, জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেন হল্টজ, ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াতা, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েজি, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত ইস্পেন রিকটার ভেনডেনসেন, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রানসিসকো ডি আসিস ভেনিতেজ সালাস, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজেন্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে এবং সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।
উল্লেখ্য, ২৫শে ফেব্রুয়ারি কাশিমপুর কারাগারে মুশতাক আহমেদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন।