সংক্ষিপ্ত স্কোর-
সাউথ আফ্রিকা (প্রথম ইনিংস)- ৪৮৮/৬ (১২৭ ওভার) (মুল্ডার ৫৩*, মত্তুসামি ৩৩*)
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের শুরুটাও দারুণ করেছে সাউথ আফ্রিকা। ধীরে ধীরে বিশাল সংগ্রহের পথে এগিয়ে যাচ্ছে দলটি। কোনো সম্ভাবনাই তৈরি করতে পারছে না বাংলাদেশের বোলাররা।
মুল্ডারের হাফ সেঞ্চুরি, পাঁচশ’র খুব কাছে প্রোটিয়ারা-
মধ্যাহ্নভোজ বিরতির পর প্রোটিয়া শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন নাহিদ রানা। রায়ান রিকেলটনকে উইকেটে স্থায়ী হতে দেননি তিনি। ৪১ বলে ১২ রান করা এই ব্যাটার নাহিদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। ৪২৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।
এরপরও অবশ্য দমানো যায়নি প্রোটিয়াদের। সেনুরান মত্তুসামি উইকেটে এসে মুল্ডারের সাথে ইতিবাচক ভঙ্গিমায় ব্যাট চালাতে থাকেন। এই দুজনের জুটি বেশ দ্রুতই পঞ্চাশ পেরিয়ে যায়। এরমধ্যে ৮৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মুল্ডার। ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি।
প্রথম সেশনেই প্রোটিয়াদের লাগাম টেনে ধরলেন তাইজুল-
দুই উইকেটে ৩০৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে সাউথ আফ্রিকা। এ দিনও শুরু থেকে বাংলাদেশি বোলারদের চাপের মধ্যে রাখেন তারা। সকাল থেকে নাহিদ রানা, তাইজুল ইসলামরা চেষ্টা করে গেলেও উল্লেখ করার মতো কিছুই করতে পারেননি।
দিনের শুরুর ভাগেই দেড়শ স্পর্শ করেন টনি ডি জর্জি। ২৩৫ বলে এই মাইলফলকে পৌঁছান তিনি। এর একটু পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ডেভিড বেডিংহামও। ৭০ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরি পর্যন্ত দুটি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকান তিনি। ১৪২তম বলে শতরানের জুটিতে পৌঁছায় এই দুজন।
এরপর অবশ্য বেশিদূর এগিয়ে যেতে পারেনি এই জুটি। ৯৯তম ওভারের প্রথম বলে তাইজুলকে বিশাল এক ছক্কা হাঁকান বেডিংহাম। পরের বলেই তাকে বোল্ড করেন তাইজুল। সামনের পা সরিয়ে মিড উইকেট দিয়ে তাইজুলকে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান বেডিংহাম। ৭৮ বলে ৫৯ রানে তিনি ফিরে গেলে ১১৬ রানের এই জুটি ভাঙে।
এর একটু পর ফিরে যান ডাবল সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাওয়া ডি জর্জিও। তাইজুলের মিডল স্টাম্পে তাক করা বলে সুইপ করতে গিয়ে ব্যর্থ হন এই ওপেনার। বলটি তার প্যাডে লাগলে বিদায় নিতে হয় ইনিংসজুড়ে অসাধারণ সব সুইপ খেলা ডি জর্জিকে। ফেরার আগে অবশ্য রিভিউ নেন বাঁহাতি এই ব্যাটার, কিন্তু লাভ হয়নি।
২৬৯ বলে ১৭৭ রানে ফিরে যান ডি জর্জি। ইনিংসে ছিল ১২টি ছক্কা এবং চারটি ছক্কার মার। বেডিংহাম ও টনি ডি জর্জিকে ফেরানোর পর কাইল ভেরাইনিকেও দ্রুত থামান তাইজুল। একইসঙ্গে ১৪ বারের মতো ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন তিনি।
আগের টেস্টে অসাধারণ সেঞ্চুরি হাঁকানো ভেরাইনি এবার ফিরে যান রানের খাতা খোলার আগেই। ডি জর্জির মতো এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারও আউট হন সুইপের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে। তিনিও রিভিউ নেন। ভিডিওতে দেখা যায় বল লেগেছিল মিডল স্টাম্পে। পাঁচ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় দলটি।
রায়ান রিকেলটন ও উইয়ান মুল্ডারের ব্যাটে চারশ পার করে দলটি। প্রথম সেশনে ২৯ ওভারে ১০৬ রান নিয়েছে সফরকারীরা। তিনটি উইকেট নিয়েছেন তাইজুল।
খুলনা গেজেট/এনএম