সদ্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের অশালীন বক্তব্যের ২৭২টি অডিও-ভিডিও চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন- বিটিআরসি। বুধবার বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার রেজা ই রাকিব এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর কাজ শুরু করে বিটিআরসি। এরই মধ্যে ১৫টি সাইট চিহ্নিত করে সেগুলো সরিয়ে ফেলেছে ফেসবুক, আর দুটি মুছে ফেলেছে গুগল।
এ ছাড়া এমন বক্তব্য ছড়ানো আরও ২০০টি সাইট চিহ্নিত করেছে ফেসবুক। যা তারা নিজেরাই বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
বিষয়গুলো অনেকটা টেকনিক্যাল হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠান ভিডিও ও অডিও সরাতে সবকিছু যাচাই-বাছাই করছে বলেও জানান এই আইনজীবী।
এই আইনজীবী বলেন, ‘এ বিষয়গুলো শুনে আদালত বলেছেন, বিটিআরসির একটি ভিজিলেন্স (পরিদর্শক) টিম থাকা উচিত। যাতে বিটিআরসি বিষয়গুলো নজরে রেখে নিজেরাই ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
‘আমরা আদালতে বলেছি, বিটিআরসি এটা একা একা করতে পারবে না। এটা যাতে করা হয়, সেজন্য একটা রেগুলেশন এরই মধ্যে ড্রাফট করেছি। যেটি আমরা হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চে দাখিল করেছি। আশা করছি ভবিষ্যতে এটা যখন চূড়ান্ত হবে, তখন এটা এসব লিংক শনাক্ত করতে সুবিধা হবে।’
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বিএনপি চেয়ারপারসর খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন বক্তব্য দেয়ার পর সেটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে।
বিষয়টি গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন আদালতের দৃষ্টিতে আনেন।
আদালতে তিনি মুরাদ হাসানের অশ্লীল-কুরুচিপূর্ণ ফোনালাপ অডিও-ভিডিও কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরানের নির্দেশনা চান।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন আদালতে বলেন, ‘মাই লর্ড, আমি কারও বিরুদ্ধে আসিনি। আমি এসেছি মুরাদ হাসানের ওই অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তার অডিও-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশনা চাইতে। কারণ তার ওই কথাবার্তা এত অশ্লীল যে কোনো শিশু যদি তা শুনে তাহলে তাদের মনে বিরূপ প্রভাব পড়বে। সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থেকে গেলে তা হবে সবার জন্য বিব্রতকর।’
মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতু রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এ আদেশ দেয়।
খুলনা গেজেট/এনএম