খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের দুইশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

একটা সময় সেঞ্চুরিকে নিজের অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছিলেন মুমিনুল হক সৌরভ। তবে সেই ধারায় ছেদ এসেছে আগেই। অনেকটা দিন ধরেই সেঞ্চুরি নেই টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ানের ব্যাটে। সবশেষ টেস্টে শতক পেয়েছিলেন ২০২৩ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে। আর ১৫ মাস পর এবারে পেলেন আরেক সেঞ্চুরি।

রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে সুইপ শট খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের ১৩তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সাবেক টেস্ট অধিনায়ক। দেশের বাইরে এটি তার মাত্র ২য় সেঞ্চুরি। এর আগে নিজের ১১তম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০২১ সালে ক্যান্ডি টেস্টে। সে হিসেবে দেশের বাইরে প্রায় ৩ বছরের সেঞ্চুরি খরা কাটিয়েছেন তিনি।

অশ্বিনের ওই ওভারের পরেই লাঞ্চ বিরতিতে গেছে দুই দল। তার আগে বাংলাদেশও পার করেছে দলীয় দুইশ রান। সকাল থেকে ভারতের বোলারদের দারুণ বোলিংয়ের পরেও স্কোরবোর্ডে থাকা ২০৫ রান টাইগারদের জন্য বড় প্রাপ্তি হিসেবে বিচেচিত হতেই পারে। ক্রিজে অবশ্য এখনো টিকে আছেন স্বীকৃত আরেক ব্যাটার মেহেদি হাসান মিরাজ।

সকাল থেকে বাংলাদেশের দৃষ্টিকটু আর অধৈর্য ব্যাটিংই হতে পারে চতুর্থ দিনের খেলার শিরোনাম। মুশফিকুর রহিম আউট হয়েছেন বল ছেড়ে খেলতে গিয়ে। লিটন দাস এবং সাকিব আল হাসান দুজনে ফিরেছেন অহেতুক আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে গিয়ে। দুজনেই ডাউন দ্য উইকেটে বড় শট খেলতে গিয়ে দিয়েছেন ক্যাচ।

জাসপ্রিত বুমরাহ পরপর কয়েকবার একই লেন্থে বল করেছেন। মুশফিক যে বলে আউট হন, তার ঠিক আগের বলটিও অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢুকেছিল। যদিও সেবার মুশফিকের ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্পের পাশ ঘেষে চলে যায় সীমানার বাইরে। পরের বলে মুশফিক নিজেই ব্যাট উঁচিয়ে জায়গা ছাড়লেন। তাতেই হয়েছেন বোল্ড। ১১ রান করা মুশফিকের আউটে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের রান ১১২।

অপর ব্যাটার মুমিনুল খেলেছেন প্রপার টেস্ট মেজাজে। তুলে নিয়েছেন ফিফটি। মাঝে মোহাম্মদ সিরাজের করা ৪৬তম ওভারের প্রথম বলে আউট হয়েছিলেন আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে। সাথেসাথেই রিভিউ নেন তিনি। স্নিকো মিটারে দেখা যায় বল ব্যাটে লাগেনি, প্যাডে ছুঁয়ে তবেই গেছে যশস্বী জয়সোয়ালের হাতে। ৪৮ রানে দাঁড়ানো মুমিনুল পরের বলেই চার মেরে পেয়ে যান ফিফটি। এরপর অবশ্য রবীন্দ্র জাদেজার এক ওভারেই দুইবার চার মেরেছেন তিনি।

লিটন দাস শুরুতে এসেই জাসপ্রিত বুমরাহর এক ওভারে পেলেন তিন চার। এরপরে আরও আগ্রাসী হতে গিয়েই বিপত্তি। রোহিত শর্মার দুর্দান্ত এক ক্যাচে মোহাম্মদ সিরাজের বলে আউট হয়ে ফিরেছেন লিটন। মিড অফের ওপর দিয়ে সীমানা পার করতে চেয়েছিলেন লিটন। কিন্তু লাফিয়ে উঠে এক হাতে দুর্দন্ত ক্যাচ নেন রোহিত।

অশ্বিনের আগের বলেই ইনসাইড আউট শটে চার মেরেছিলেন সাকিব আল হাসান। পরের বলেও তুলে মারতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বল উঠে যায় ওপরে। অনেকটা পেছনে দৌড়ে অসাধারণ এক ক্যাচ নেন সিরাজ। সাকিব ফেরেন মাত্র ৯ রান করে।

এরপরই মিরাজকে নিয়ে জুটি গড়েন মুমিনুল। ৯৩ এবং ৯৬ রানে দুইবার জীবন পেয়েছেন। একবার ক্যাচ নিতে পারেননি রিশাভ পান্ত, আরেকবার স্লিপে হাতের মুঠো থেকে ক্যাচ ফেলে দেন রোহিত শর্মা। বাকি ব্যাটসম্যানরা আসা–যাওয়ার মধ্যে থাকলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মুমিনুল হক।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!