যশোরের চৌগাছা উপজেলার যুদ্ধাহত আব্দুল হামিদ (৭০) স্বাধীনতার একান্ন বছরে এসে দুই পায়ে হাটতে পারছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পরিত্যক্ত মাইন বিস্ফোরণে তিনি ডান পা হারান (হাঁটুর নিচ অংশ)। এরপর দীর্ঘ ৫০ বছর যাবৎ তিনি ক্রাচে ভর দিয়ে চলাচল করতেন। সম্প্রতি তার এই সীমাহীন কষ্ট লাঘবে এগিয়ে এসেছেন কিছু হৃদয়বান মানুষ।
গত রবিবার তার একটি কৃত্রিম পা সংযোজন করা হয়েছে। জীবনের শেষ দিকে এসে পা ফিরে পেয়ে আনন্দিত আব্দুল হামিদ। তিনি উপজেলার ধুলিয়ানি ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আবদুল হামিদের কৃত্রিম পা সংযোজনে সহযোগিতা করেছেন উপজেলার আন্দুলিয়া গ্রামের সন্তান ও খুলনার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল কাদের পিন্টু। তিনি বলেন, কাজটি করতে পেরে আনন্দিত হয়েছি। তিনি বলেন, গত ৪ মে চৌগাছা উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে চৌগাছা সমিতি-ঢাকার পক্ষ থেকে স্বাভাবিক চলাচলে অক্ষম ১০৫ ব্যক্তিকে হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে পরিচয় ও কথা হয় আব্দুল হামিদের সঙ্গে।
আলাপকালে তিনি জানান, ১৯৭১ সালে মাইনের আঘাতে তার ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ উড়ে যায়। এরপর থেকে তিনি ক্রাচে ভর দিয়ে চলাফেরা করেন। এরই প্রেক্ষিতে তাকে কৃত্রিম পা সংযোজনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলাম।
এ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রোটারি ক্লাব অব খুলনা আর্টিফিশিয়াল লিম্ব প্রজেক্টের আওতায় এবং পাস্ট প্রেসিডেন্ট সরদার হাসিবুর রহমানের অর্থায়নে রোববার আব্দুল হামিদের কৃত্রিম পা সংযোজন করা হয়।
আব্দুল কাদের পিন্টু বলেন, কাজটি করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। রোটারি ক্লাব অব খুলনা এবং চৌগাছা সমিতি-ঢাকার সকল সদস্যকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।