বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এর কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড খালেকুজ্জামান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইরে গিয়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসন পতন হলেও শোষণমূলক ব্যবস্থা পুরোপুরি দূর হয়নি। বরং শাপলা চত্বর ও শাহবাগের মতো অহেতুক বিতর্ক সামনে এনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী শক্তি তাদের স্বার্থে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড খালেকুজ্জামান আরও বলেন, শুধু ক্ষমতার হাতবদল হলে হবে না, যদি ব্যবস্থার বদল না ঘটে, তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থার উন্নতি সম্ভব নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাতিল করার পরিকল্পনা হিসেবে সংবিধান থেকে চার মূলনীতি বাতিলের কথা উঠেছে। অথচ এই চার মূলনীতি আওয়ামী লীগের আবিষ্কার নয়, বরং পাকিস্তানি উপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ এবং সমাজতন্ত্রের চেতনায় মূর্ত হয়েছিল। সেদিনের বুর্জোয়া শাসকরা জনগণের এই আকাঙ্ক্ষাকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর, বুর্জোয়া শাসকগোষ্ঠী এই মূলনীতির বিপরীতে দেশ পরিচালনা করে বাংলাদেশকে চরম বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করতে যাচ্ছে।
শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় বাসদ জেলা শাখার আহ্বায়ক শাহজাহান আলীর সভাপতিত্বে এবং জেলা সদস্য আলাউদ্দিনের সঞ্চালনায় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় বক্তব্য দেন, বাসদ কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, জনার্দন দত্ত নান্টু, সদস্য শফিউর রহমান শফি, যশোর জেলা কমিটির সদস্য সচিব আক্কাস আলী, সংগঠক হাছিনুর রহমান, বাম গণতান্ত্রিক জোট জেলা কমিটির সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ কেন্দ্রীয় সদস্য জিল্লুর রহমান ভিটু, সাংবাদিক ও গবেষক বেনজিন খান, সিপিবি যশোর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইলাহদাদ খান, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফকির শওকত, জাসদ যশোর জেলা কমিটির সহ সভাপতি আহসান উল্লাহ ময়না, সাংস্কৃতিক সংগঠক মফিজুর রহমান রুন্নু, শিক্ষক মাফিজুল ইসলাম, মেহদিউর রহমান টুটুল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জেলা সম্পাদক মাসুম রহমান প্রিন্স, শিক্ষক জাফর ইকবাল লিটন প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এএজে