মিয়ানমার ঘুরে সব ঠিকঠাক মনে হলেও টেকনাফ এসে সুর বদল করেছেন শরণার্থী প্রতিনিধি দলের রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, মিয়ানমারের পরিবেশ তাদের ভালো লাগেনি। কিন্তু মিয়ানমারে পরিদর্শনে থাকা কালে তারা প্রতিনিধি দলের প্রধানের কাছে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছিলেন।
শুক্রবার (৫ মে) মংডু টাউনশিপের আশপাশের গ্রামগুলো দেখে বিকেল টেকনাফ ফেরেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
প্রতিনিধি দলের প্রধান শরণার্থী বিষয়ক কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা ভালো আছেন, বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের জন্য বসবাসের পরিবেশ তার ভালো লেগেছে।
তিনি বলেন, তিন নারীসহ ২০ রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে সন্তুষ্টির কথা জানালেও টেকনাফ জেটি ঘাটে পৌঁছে অসন্তুষ্টির কথা বলেছেন। রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা কেন অসন্তুষ্টির কথা বলছেন সেটি তার বোধগম্য নয়।
২৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের প্রধান শরণার্থী বিষয়ক কমিশনার মিজানুর রহমান মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল দাবি করে বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইনে যে পরিবেশ রয়েছে তাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়। ধীরে ধীরে সব সমস্যার সমাধান হবে।
এ ব্যাপারে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা বলেন, মিয়ানমারের যে জায়গায় তাদের জন্য শেল্টার তৈরি হয়েছে সেই জায়গা তাদের বসত ভিটা নয়।
তাদের দাবি, নাগরিক অধিকার, নিরাপত্তা ও বসত ভিটা ফিরে পেলে তবেই মিয়ানমার যাবেন।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ছয় বছরের মাথায় মিয়ানমার যায় একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ১৭ জন রোহিঙ্গা পুরুষ ও তিনজন রোহিঙ্গা নারী ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সাতজন ছিলেন। প্রত্যাবাসনের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের যেখানে রোহিঙ্গাদের রাখা হবে সেই আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন তারা। এর আগে গত মার্চে ৪৮০ জন রোহিঙ্গাকে যাচাই-বাছাই করতে বাংলাদেশে এসেছিলেন মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধিদল।
খুলনা গেজেট/কেডি