মিয়ানমার থেকে প্রথম গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সাবেক বিউটি কুইন হটার হটেট হটেট (৩২) দেশটির সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের অংশ হিসাবে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন।
হটার হটেট হটেট নিজেই টুইট করে ও ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন। গত ১১ মে তার ফেসবুক পোস্ট ও টুইটের সূত্র উল্লেখ করে যুক্তরাজ্যের ইন্ডিপেনডেন্ট ও সাউথ এশিয়া ভিউজ গতকাল শুক্রবার এবং দ্য সেন্টিনেল আজ শনিবার সংবাদ প্রকাশ করেছে।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, মিয়ানমারের সাবেক বিউটি কুইন গত ১১ মে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের ১০০তম দিনে কাঁধে অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
তিনি ২০১৩ সালে থাইল্যান্ডে মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় ৬০টি দেশের সুন্দরীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন।
হটার হটেট হটেট ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘প্রত্যাঘাতের সময় এসেছে। আপনি হাতে যাই নিন না কেন— অস্ত্র, কলম, কিবোর্ড অথবা গণতন্ত্রকামীদের জন্যে অনুদানের অর্থ। বিপ্লবকে সফল করতে সবাইকে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি যতটা পারি সংগ্রাম করে যাব। আমি সবকিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত। এমনকি, নিজের জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি।’
চে গুয়েভারাকে উদ্ধৃত করে হটার হটেট হটেট গত ১১ মে টুইটারে লিখেছেন, ‘বিপ্লব আপেল নয় যে পাকার পর আপনা-আপনি পড়ে যাবে। একে পাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।’
‘আমরা অবশ্যই জয়ী হবো,’ বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। সাবেক বিউটি কুইন উল্লেখ করেছেন যে তিনি গত এক মাসের বেশি সময় ধরে জঙ্গলে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
সংবাদমাধ্যম সাউথ এশিয়া ভিউজ জানিয়েছে, হটার হটেট হটেট জিমন্যাস্টিকস কোচ ছিলেন। পরে তিনি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহীদের দলে যোগ দেন।
ইন্ডিপেনডেন্ট’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির আরেকজন সুন্দরী প্রতিযোগী হান লে মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সামরিক বাহিনীর গুলিতে মিয়ানমারে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন… দয়া করে আমাদের রক্ষা করুন।’
তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমাদের মিয়ানমারের জনগণ গণতন্ত্রের জন্যে রাস্তায় নেমেছেন। মিয়ানমারের প্রতিনিধি হিসেবে আমি যুদ্ধ-সংঘাত বন্ধের বাণী নিয়ে মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনালের মঞ্চে হাঁটবো।’