ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে মিস ইউনিওয়ার্ল্ড সুন্দরী প্রতিযোগিতার পঞ্চম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের লিওরনা চৌধুরী। কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত বিশ্বের ৪৩ দেশের সুন্দরীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনেন লিওরনা চৌধুরী। গতকাল মালয়েশিয়ার ফাইভ স্টার হোটেল ডব্লিউ’র বলরুমে মিস ইউনিওয়ার্ল্ড অনুষ্ঠিত হয়। এর আয়োজন করেন মালয়েশিয়ার মিস ইউনিওয়ার্ল্ড-এর স্থানীয় আয়োজক দাতু রিস তিয়ারা।
লিওরনা চৌধুরী প্রথমে ৪১ নম্বর সিরিয়াল থেকে লড়াই করে ২৮-এ আসীন হন, এরপর বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিত্তিতে ২৮ থেকে ১৫তে আসেন এবং গ্র্যান্ড ফাইনালে তিনি সকল ক্রাইটেরিয়া পরিপূর্ণ করে টপ ১২তে স্থান করে নেন। পরের রাউন্ডে ৫ম স্থান অর্জন করেন। আর ৫ম স্থান হিসেবে ডায়মন্ড, গোল্ড কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োজিত হন এবং চিয়ারফুল পারফরমেন্সের জন্য খ্যাতি হিসেবে চিয়ারফুল সার্টিফিকেট পান। এই ৪৩টি দেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করেন। তাদের পেছনে ফেলে ৫ম স্থান দখল করেন লিওরনা চৌধুরী। চট্টগ্রামের মেয়ে লিওরনা চৌধুরী। তিনি লিও নামেই বেশি পরিচিত।
বাবার সরকারি চাকরির কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বদলিজনিত কারণে তার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামের বাইরে। বাবা এবং মায়ের ইচ্ছা ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। কিন্তু তার মনপ্রাণ, তার স্বপ্নের জায়গা হলো মডেলিং, গান, নাচ ও আবৃত্তি। আর তাই তিনি মালয়েশিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় তার কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে বিগত দশ বছর যাবৎ মালয়েশিয়াতে স্বনামধন্য ইউনিভার্সিটি থেকে মেধা তালিকায় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ব্যাচেলর, মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে একই ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পিএইচডি রিসার্চ করছেন।
তিনি মালয়েশিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশুনার পাশাপাশি দীর্ঘ দশ বছর ধরে ফ্যাশন প্যারেডে ক্যাটওয়াক করছেন। মাল্টি কালচারাল দেশ হিসেবে মালয়েশিয়ায় জাতীয় পোশাক কাবায়া, শাড়ি আয়কন ইত্যাদি টাইটেল পেয়েছেন এবং স্থানীয় কোম্পানিতে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োজিত আছেন। তিনি ২৮ হাজার বাংলাদেশি স্টুডেন্টস এবং ১৩০ জন বাংলাদেশি প্রফেসরদের নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ফোরাম মালয়েশিয়া (বারফোর্ম)-এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একাধারে উপস্থাপিকা, গল্প, কবিতা, গান এবং মটিভেশনাল উক্তিসহ আন্তর্জাতিক জার্নালে লিখেন।