খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সোনারগাঁওয়ে টিস্যু গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট
  আগামীতে সরকারের মেয়াদ হতে পারে চার বছর : আলজাজিরাকে ড. ইউনূস

মিল্টনের মানব পাচার মামলা: উদ্ধার না হওয়া শিশু হঠাৎ আদালতে

গেজেট ডেস্ক

মিল্টন সমাদ্দারকে সঙ্গে নিয়ে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েও ডিবি পুলিশ যে শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারেনি, সেই শিশুকে আদালতের কাঠগড়ায় তার পালিত বাবা-মার সঙ্গে দেখা গেছে। এর মধ্যদিয়ে বাদীর শিশুটিকে অন্যত্র পাচার বা বিক্রি করে দেয়ার আশঙ্কা দূর হলো।

শিশুটির পালিত বাবা-মা জসিম বাবুর্চি এবং সুমি বেগমকে আদালতে উপস্থাপন করেন মিল্টন সমাদ্দারের আইনজীবী। এ সময় শিশুটিকে কোলে নিয়েই কাঠগড়ায় দাঁড়ান জসিম। ওই সময় সুমি বেগমও শিশুটির সঙ্গে ছিলেন।

চার বছর আগে শিশুটিকে মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমে’ দেন ধানমন্ডির বাসিন্দা এম রাকিব। সেই শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছে না- এমন অভিযোগে সম্প্রতি আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা করা হয়। মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মিরপুর জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ কামাল হোসেন।

আবেদনে তিনি বলেন, রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার স্বীকার করেন, ওই শিশু অর্থাৎ মামলার ভিকটিমকে মিরপুর এলাকার জসিম বাবুর্চি নামে এক ব্যক্তিকে তিনি দান করেছেন। তবে তিনি বিধি মোতাবেক আদালতের অনুমতি না নিয়ে, মামলার বাদীকে অবহিত না করে শিশুটিকে দান করেছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে জসিম বাবুর্চির বাসায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে মিল্টন সমাদ্দারকে নিয়ে জসিম বাবুর্চির ভাইয়ের বাসা সাভারেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখান থেকেও শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তখন শিশুটিকে অন্যত্র পাচার বা বিক্রি করে দেয়ার আশঙ্কা জোরালো হয়ে ওঠে।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!