আলোচিত মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের দায়িত্ব নিয়েছে শামসুল হক ফাউন্ডেশন। সোমবার (৬ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
ডিবি প্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে আছে। আমরা একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পেয়েছি, তিনি শামসুল হক ফাউন্ডেশনের কর্ণধার। তিনি আমাদের কাছে গতকাল এসেছিলেন। মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে’ যেসব শিশু, অনাথ, বৃদ্ধ রয়েছে তিনি তাদের খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে চিকিৎসা- সবকিছুর ব্যয়ভার বহন করবেন।
হারুন অর রশিদ বলেন, শামসুল হক ফাউন্ডেশনের কর্ণধার আমাদের কাছে সবকিছুর ব্যয়ভার নেয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। তিনি আশ্রমের শিশু-বৃদ্ধদের জন্য সার্বক্ষণিক একজন চিকিৎসক রাখার ব্যবস্থা করবেন।
মানবপাচার আইনের মামলায় গতকাল রোববার (৫ মে) মিল্টন সমাদ্দারের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রোববার (৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড আদেশ দেন।
ওইদিন জাল মৃত্যু সনদ জালিয়াতির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানার মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও মিরপুর জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ কামাল হোসেন। এরপর তাকে মানবপাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শিকদার মাইতুল আলম।
আদালতে প্রথমে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে, মিল্টন সমাদ্দারের পক্ষে আব্দুস সালাম শিকদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। মিরপুর মডেল থানার (মানবপাচার) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ২ মে মিল্টন সমাদ্দারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। তার আগে ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তার বিরুদ্ধে জাল মৃত্যু সনদ তৈরি, টর্চার সেলে মানুষজনকে নির্যাতন ও মানবপাচারের অভিযোগে তিনটি মামলা করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে