গভীর রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ এই সদস্য শুক্রবার সকালে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই দুই নেতাকে উত্তরা ও শাজাহানপুরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে বলে দাবি বিএনপি ও তাদের পরিবারের। এরপর বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘দেশের বৃহত্তম একটি রাজনৈতিক দলের মহাসচিবকে, স্থায়ী কমিটির এক সদস্যকে এভাবে রাতে বাসা থেকে আটকের তীব্র নিন্দা জানাই। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।’
তিনি আরও বলেন, যেখানে সামনে নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রী নিজেও বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ভোট চাইছেন, সেখানে বিরোধী দলের একটি গণসমাবেশ কেন্দ্র করে পরিস্থিতিকে সরকার এমন অবস্থায় নিয়ে যাবে, তা কল্পনাতীত।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘দেশে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। এই সংকটের মধ্যে সরকার এত বড় একটি রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করবে, তা আমরা চিন্তাই করতে পারি না।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, আমরা এই সরকারের বিদায়ের জন্য, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করছি। ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশটি আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি। এটা এমন আর কি!’
তিনি বলেন, ‘সরকার বলছে, আমার সন্ত্রাস-বিশৃঙ্খলা করব। আমরা ৯টি সমাবেশ করেছি। সন্ত্রাস করিনি, শান্তিপূর্ণভাবেই সমাবেশ করেছি। ঢাকায়ও করব। গণতান্ত্রিকভাবে আমরা অগ্রসর হচ্ছি। সরকার কেন ন্যূনতম সহনশীলতা দেখাচ্ছে না? এর পেছনে নিশ্চয়ই গভীর দুরভিসন্ধি আছে।’
প্রসঙ্গত, গত তিন মাস ধরে সারাদেশের বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। এ পর্যন্ত ৯টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছে দলটি। ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ ডেকেছে। এজন্য নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে ডিএমপিকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি। কিন্তু পুলিশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে অনড় ছিল। এ নিয়ে উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের নেতাসহ শতাধিক নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সবশেষ গতরাতে মির্জা ফখরুল ও আব্বাসকে আটক করা হয়।