সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ১৬ বছর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম আগামী ২৪ জানুয়ারি রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন।
এর আগে দুই দফায় রায় ঘোষণার তারিখ পেছায়। আদালত জানায়, রায় প্রস্তুত না হওয়ায় নতুন তারিখ ঘোষণা করা হলো।
গত ২২ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে। এরপর ৩০ নভেম্বর বিচারিক আদালত ১২ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলেন। রায় প্রস্তুত না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন।
দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম ২০০৭ সালে রাজধানীর রমনা থানায় চার দলীয় জোট সরকারের সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সাত কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা তদন্ত শেষে ২০০৮ সালে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
খায়রুল হুদা তদন্ত প্রতিবেদনে চার কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মির্জা আব্বাসকে অভিযুক্ত করেন।
পরের বছর আদালত অভিযোগ গঠন করেন। এই মামলায় মোট ২৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।
খুলনা গেজেট/এনএম