উড়ন্ত জিম্বাবুয়ের সামনে খুব বড় স্কোর দাঁড় করাতে পারেনি সফরকারী বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের ২৯১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে টাইগাররা। সিরিজ রক্ষার ম্যাচে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৮০*) ও অধিনায়ক তামিম ইকবালের (৫০) ফিফটিতে ভর করে ৯ উইকেটে ২৯০ রান করে বাংলাদেশ।
টাইগারদের স্কোরটা খুব চ্যালেঞ্জিং না হলেও ইনিংসের প্রথম ওভারেই দলকে সাফল্য উপহার দিলেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। তার গতির বলে উইকেটকিপার মুশফিকুর রহীমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার কায়ান্ত। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ফের উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ। এবার তার শিকার হয়ে ফেরেন তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ইনোসেন্ট কায়া।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান।
রোববার (৭ আগস্ট) হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ ছিল বাংলাদেশের। আগ্রাসী ভূমিকায় আজ ব্যাট করতে দেখা যায় টাইগার কাপ্তানকে। ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি তুলে নেন এই বাঁহাতি, ওয়ানডেতে আজ করা তার ৫৫তম অর্ধশতক আসে ৪৩ বলে। যেখানে ১০ চার ও ১ ছয়ে করেন ৪৬ রান। অর্থাৎ ১১ বলেই ৪৬ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫০ রানে থামে তামিমের ব্যক্তিগত ইনিংস।
তামিমের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি বিজয়। দুর্ভাগ্যক্রমে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তর সোজাসুজি খেলা বল নন স্ট্রাইক প্রান্ত দিয়ে যেতেই সচেতন বোলার চিভাঙ্গা হাত ছুঁয়ে দেন, সরাসরি ভাঙে স্টাম্প। ততক্ষণে নিজের জায়গা থেকে বেরিয়ে গেছেন বিজয়, আউট হন ৩ চারে ২৫ বলে ২০ রান করেন।
৭৭ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারায় টাইগাররা। এরপর শান্ত আর মুশফিক এক সঙ্গে দলের রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন। তাদের তৃতীয় উইকেট জুটি থেকে আসে ৫০ রান। মুশফিক ১ চারে ৩১ বলে ২৫ রানে আউট হলে ভাঙে তৃতীয় উইকেট জুটি। এর টেস্ট মেজাজে ব্যাট করে দলের রান রেট কমিয়ে ৫৫ বলে ৩৮ রানে ফেরেন শান্ত।
শান্তর বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জুটি গড়ের আফিফ। মাঠে নেমেই খোলসের মধ্যে আকটে যান অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ, তবে অপর প্রান্তে হাত খুলে খেলে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন আফিফ । সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিংই কাল হলো তার। আউট হওয়ার আগে ১০০ স্ট্রাইক রেটে ৪১ বলে ৪১ রানের ইনিংসটি সাজান ৪টি চারের মারে।
শেষদিকে ফিফটির কোটা ছোয়ার পর কিছুটা দ্রুত রান এসেছে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। তার ৮৩ বলে ৮০ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২৯০ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ দল। এদিন জিম্বাবুয়ের হয়ে ৫৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন অফ স্পিনার সিকান্দার রাজা।
বাংলাদেশের একাদশ
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত , এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম , নাসুম আহমেদ ও হাসান মাহমুদ/মোসাদ্দেক হোসেন।
জিম্বাবুয়ে একাদশ
রেগিস চাকাভা (অধিনায়ক), তানাকা চিভাঙ্গা, ব্র্যাডলি ইভান্স, তাকুদওয়ানাশে কাইতানো, লুক জংওয়ে, ইনোসেন্ট কাইয়া, ওয়েসলে মাধেভের, তাদিওয়ানশে মারুমানি, টনি মুনিয়োঙ্গা, ভিক্টর নাইউচি ও সিকান্দার রাজা।
খুলনা গেজেট/এমএম