সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। যেখানে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। বল হাতে এক উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও ফিফটি করেছেন। অধিনায়কের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে আসরে চতুর্থ জয় পেল টাইগার্সরা।
চট্টগ্রামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান সংগ্রহ করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভার ৫ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা টাইগার্স।
১৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ শুরু করে খুলনা। মিরাজ ও নাইমের ব্যাটে পাওয়ার প্লের পুরোটা সময় দাপট দেখিয়েছে টাইগার্সরা। ২০ রান করা নাইমকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন নিহাদ উজ জামান। তবে আরেক ওপেনার মিরাজ হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ২৯ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন খুলনার অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭০ রান।
ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে তিনে নামলেও সুবিধা করতে পারেননি আফিফ হোসেন। জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩ রান করেছেন এই ব্যাটার। এরপর ভালো শুরু পেলেও জয় পাওয়ার একটু আগে ফিরেছেন ১৭ রান করা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। পরবর্তীতে অ্যালেক্স রস ও উইলিয়াম বসিস্তো মিলে খুলনার জয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই রনি তালুকদারের উইকেট হারায় সিলেট। মিরাজের বলে কাট করতে গিয়ে আমের জামালকে ক্যাচ দিয়েছেন ডানহাতি এই ওপেনার। রনি ফেরার পর অবশ্য জুটি গড়ে তোলেন জাকির হাসান ও জর্জ মানজি।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করা মানজি পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ২৮ বলে। যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। আবু হায়দার রনির স্লোয়ার ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন তিনি। এর আগে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। মানজি ফেরার পর ব্যর্থ ছিল সিলেটের মিডল অর্ডার। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেন জাকির হাসান। তবে ফিরেছেন হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার আগেই। ৪৪ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
খুলনা গেজেট/এএজে